vitalgin syrup এর কাজ কি? ভাইটালজিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আপনি কি vitalgin syrup এর কাজ কি তা জানতে চাচ্ছেন? আমরা আজকেও
প্রতিদিনের মতো খুবই জরুরি একটি সিরাপ নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি,
সেটি হচ্ছে আমরা অনেকেই শরীরের ভিটামিন ও খনিজ ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে
থাকি ভাইটালজিন সিরাপ।
আপনি যদি আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে থাকেন, তাহলে vitalgin syrup এর কাজ কি
জেনে নেওয়ার পাশাপাশি vitalgin syrup এর উপকারিতা, ভাইটালজিন সিরাপ খাওয়ার
নিয়ম, vitalgin syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং দাম সম্পর্কে আরো অন্যান্য
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিতে জানতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ পোস্টটি
শেষ অবদি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
vitalgin syrup কিসের ওষুধ
vitalgin syrup ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (Ibn Sina Pharmaceuticals
Limited) কোম্পানি বাজারজাত ও উৎপাদন করে থাকে। যার জেনেটিক বা গ্রুপ নাম
মাল্টিভিটামিন ও মাল্টিমিনারেল [এ-জেড সিরাপ প্রিপারেশন] (Multivitamin &
Multimineral [A-Z Syrup Preparation])। অনেকেই vitalgin syrup কিসের ওষুধ সেই
সম্পর্কে জানতে চান।
ভাইটালজিন সিরাপ একটি বহুল প্রচলিত মাল্টিভিটামিন এবং মাল্টি মিনারেল সিরাপ
যা দেহের বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে থাকে। এছাড়াও
যাদের সুষম খাদ্যের অভাবজনিত দুর্বলতা র্যেছে তাদের জন্য সহায়ক। শিশুদের
বৃদ্ধি সমস্যা সমূহ অন্যান্য পরিস্থিতিতে এটি কার্যকর।
vitalgin syrup এর কাজ কি
vitalgin syrup মুলত শরীরের ভিটামিন ও খনিজ ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত
সিরাপ। কিন্তু এর কাজ কি বা এর কাজ কি? এই বিষয়টি সম্পর্কে আমরা হয়তো ঠিকভাবে
জানি না।
নিচে vitalgin syrupp এর কাজ কি বা এই সিরাপ কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে কাজ করে
সেই বিষয়টি বিস্তারিত আলোচনা করা হলো -
- শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি দূর করা
- শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি করে
- দুর্বল ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী ও উন্নত করে
- মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে ইত্যাদি।
vitalgin syrup এর উপকারিতা
আপনারা অনেকেই vitalgin syrup এর উপকারিতা গুলি জানতে চেয়ে থাকেন। আর
আপনার শরীরের ভিটামিন ও খনিজ ঘাটতি পূরণের ক্ষেত্রে ডাক্তার যখন আপনাকে এই
ওষুধ লিখে দিবেন তখন এই সিরাপের কি কি উপকারিতা রয়েছে সেগুলো বিষয়ে জানতে
হবে।
📌আরো পড়ুন 👉 cerox cv 500 কিসের ঔষধ
vitalgin syrup মূলত একটি বহুল প্রচলিত মাল্টিভিটামিন এবং মাল্টি মিনারেল
সিরাপ। এর ফলে বেশ কয়েকটি উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে vitalgin syrup
এর উপকারিতা উল্লেখ করা হলো
পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে
যারা মূলত সুষম খাদ্য খেতে পারে না বা সুষম খাদ্যের প্রতি একেবারেই রুচি
নেই কিংবা যাদের শরীরে ভিটামিন ও মিনারেল অভাব দেখা দেয়, তাদের জন্য এই
সিরাপ একটি কার্যকরী সমাধান। তাই আপনার দেহের পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিলে একজন
নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে পারেন।
শিশুদের বৃদ্ধি ও বিকাশ হয়
শিশুদের শারীরিক এবং মানসিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে, এই ভাইটালজিন সিরাপ
কার্যকর। তাই আপনার শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ দেখা করানোর ক্ষেত্রে একজন
নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সিরাপ সেবন করাতে পারেন।
ক্লান্তি দূর এবং শক্তি প্রধান
ভাইটালজিন সিরাপ সেবনে দীর্ঘমেয়াদি ক্লান্তি এবং শরীরের দুর্বলতা দূর করতে
সহায়তা করে। তাই আপনার দেহের ক্লান্তি দূর করতে একজন নিবন্ধিত
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করতে পারেন।
ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে
ভিটামিন এবং মিনারেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং নিয়মিত
রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই আপনার দেহের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে
চাইলে একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সিরাপ সেবন করতে পারেন।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ভাইটালজিন সিরাপ নিয়মিত সেবনে অনেকের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ও
স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে বেশ ভূমিকা রাখে। তাই
আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য একজন নিবন্ধিত
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই সিরাপ সেবন করতে পারেন।
আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে vitalgin syrup এর উপকারিতাগুলো জানতে
পেরেছেন। vitalgin syrup এর উপকারিতা পেতে হলে সেবনের সঠিক মাত্রা বা
ডোজ জানতে হবে। তাহলে এবার চলুন, ভাইটালজিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত
জেনে নেওয়া যাক।
ভাইটালজিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
ভাইটালজিন সিরাপ সেবন করে এর সঠিক কার্যকারিতা পেতে হলে, সঠিক ডোজ অনুযায়ী সেবন
করা উচিত। আর সেটা সবসময় মেনে চলতে হবে। প্রতিটি সিরাপ সেবন করার সঠিক নিয়ম
রয়েছে।
ভাইটালজিন সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম নিম্নে উল্লেখ করা হল--
📌আরো পড়ুন 👉 ulfate খাওয়ার নিয়ম ও দাম
- শিশুদের জন্য: শিশুদের জন্য মানের যেসব শিশুদের বয়স ২ থেকে ৫ বছর তাদের ক্ষেত্রে দিনে ১ থেকে ২ চামচ (৫-১০ মিলি) করে সেবন করতে পারবে। তবে তা অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহনযোগ্য।
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য: প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দিনে ২ থেকে ৩ চামচ (১০-১৫ মিলি) খাবারের পর সেবনব করা যায়। তবে তা অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহনযোগ্য।
- গর্ভবস্থায় ও স্তন্যদানকারীদের ক্ষেত্রে: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত। তবে তা অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহনযোগ্য।
- খাবারের পরে গ্রহণযোগ্য: ভিটামিন সিরাপ মূলত ভরা পেটে গ্রহণ করা হয়। কারণ এতে শরীরের শোষণ ভালো হয় এবং অম্বল বা পেটে অস্বস্তি কম হয়।
এছাড়াও শিশু এবং গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে বিশেষ সর্তকতার প্রয়োজন রয়েছে।
তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আলফেট সিরাপ ব্যবহার করা উচিত নয়।
* রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন করুন '
ভাইটালজিন সিরাপ সঠিক নিয়মে সেবন করার কোন বিকল্প নেই। আশা করছি আপনারা
ভাইটালজিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম জানতে পেরেছেন। এবার চলুন ভাইটালজিন
সিরাপ সেবনে আমাদের দেহে যেসব পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তা
জেনে নেওয়া যাক।
vitalgin syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
vitalgin syrup যেহেতু ভিটামিন জাতীয় মেডিসিন তাই এর উপকারিতা অনেক রয়েছে,
এজন্য ক্ষতিকর প্রভাব খুবই সামান্য। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক সময় সময় দেহে
ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে। vitalgin syrup মূলত অধিকংশ সময় নিরাপদ,
তবে অতিমাত্রায় সেবনে বা নিয়ম অনুযায়ী সেবন না করলে ক্ষতিকর প্রভাব দেখা
দিতে পারে সেগুলো জেনে রাখা ভালো।
- এলার্জি (allergy): কারও কারও ক্ষেত্রে ত্বকের র্যাশ ও এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- পেটে অস্বস্তি (Stomach discomfort): অতিরিক্ত সেবনের ফলে পেটে ব্যথা, অম্বল বা ডায়রিয়া হতে পারে।
- মাথাব্যথা বা মাথা ঘোরা (Headache or dizziness): ভিটামিন সিরাপ সেবনের পর অনেকের মাথা ঘোরা বা অস্বস্তি বোধ হতে পারে।
- অতিরিক্ত ভিটামিন জমা (Additional vitamin deposits): পরিমানের চেয়ে অধিক ডোজ গ্রহন করলে, শরীরে ভিটামিন জমে তা বিষক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
তবে একটা বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে সেটি হচ্ছে উল্লিখিত
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুরুতর হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হলে সেক্ষেত্রে আপনাকে যত
দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তো আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে
vitalgin syrup এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানতে পেরেছেন।
vitalgin syrup এর সতর্কতা
vitalgin syrup গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের বেশ কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করতে
হবে। আমরা নিচে সেই সতর্কতাগুলো উল্লেখ করে দিয়েছি -
- অতিমাত্রায় ডোজ না নেওয়া: vitalgin syrup এর অতিমাত্রায় ডোজ নিলে আপনার দেহের ক্ষেত্রে অনেক বিপদজনক হতে পারে। তাই অতিরিক্ত ডোজ না নেওয়াটাই উত্তম।
- চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া: বিশেষ করে যারা গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মা রয়েছেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- অন্যান্য ওষুধের মিথস্ক্রিয়া: ইতিমধ্যে অন্য কোন রোগের ক্ষেত্রে ওষুধ সেবন করে থাকলে, সেক্ষেত্রে ভাইটালজিন সিরাপ সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরী। কেননা এতে করে ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
- বেশিদিন ব্যবহার না করা: vitalgin syrup বেশিদিন ধরে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে ভালোমতো পরামর্শ করে নিতে হবে।
এইসব সর্তকতা অনুসরণ করলে, vitalgin syrup সেবনে নিরাপত্তা বজায় রাখা সহজ
হবে। আশা করছি এই অংশ থেকে আপনারা vitalgin syrup এর সতর্কতা জেনে সেগুলো
এড়িয়ে চলবেন। এবার চলুন, vitalgin syrup এর দাম কত তা জেনে নেওয়া যাক।
vitalgin syrup এর দাম
vitalgin syrup ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড (Ibn Sina
Pharmaceuticals Limited) কোম্পানি বাজারজাত ও উৎপাদন করে থাকে। যার
জেনেটিক বা গ্রুপ নাম মাল্টিভিটামিন ও মাল্টিমিনারেল [এ-জেড সিরাপ
প্রিপারেশন] (Multivitamin & Multimineral [A-Z Syrup Preparation])।
অনেকেই এই vitalgin syrup এর দাম সম্পর্কে জানতে চান।
তাই পোষ্টের এই অংশে আমরা এর বর্তমান দাম তুলে ধরেছি। vitalgin
syrup প্রতি ২০০ মিলি দাম হচ্ছে মাত্র ১৯০ টাকা। তবে অনেক সময় জায়গা
ভেদে দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। আপনারা এই ওষুধ সিরাপ ক্রয় করার আগে অবশ্যই এর
মেয়াদ দেখে ক্রয় করবেন।
vitalgin syrup সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
vitalgin syrup কোন কোম্পানি বাজারজাত করে?
vitalgin syrup মূলত ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানি
বাজারজাত করে।
vitalgin syrup শিশুদের জন্য কি নিরাপদ?
হ্যাঁ! vitalgin syrup শিশুদের জন্য নিরাপদ। তবে তখনই নিরাপদ যখন
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্ধারিত ডোজ মেনে সেবন করাবেন।
vitalgin syrup কি গর্ভবস্থায় ব্যবহার করা যাবে?
গর্ভবস্থায় vitalgin syrup সেবন করা যায়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী।
vitalgin syrup কখন খাবেন?
vitalgin syrup মূলত খাবারের পরে সেবন করতে হয়।
vitalgin syrup সম্পর্কে লেখকের মতামত
আমরা ইতিমধ্যে vitalgin syrup এর কাজ কি, ভাইটালজিন সিরাপ এর উপকারিতা,
ভাইটালজিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম, ভাইটালজিন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও
দামসহ আলোচনা করেছি। আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে এগুলো বিষয়ে একটি পরিস্কার ধারণা
পেয়ে গেছেন। তবে ভাইটালজিন সিরাপ সম্পর্কে যদি আপনার কোন ধরণের প্রশ্ন কিংবা
মতামত থেকে থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আজকের লেখা ভাইটালজিন সিরাপ সম্পর্কিত আর্টিকেলেটি আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই
আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করে দিতে পারেন। এতে তারাও ভাইটালজিন সিরাপ
সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো জানতে সক্ষম হবেন। বিভিন্ন ট্যাবলেট ও স্বাস্থ্য
সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পড়তে হলে আমাদের সাইটটি নিয়মিত
ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।
ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url