তাওহীদ শব্দের অর্থ কি? তাওহীদ কাকে বলে - তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি
আপনি কি তাওহীদ শব্দের অর্থ কি, তাওহীদ কাকে বলে তা জানতে
চাচ্ছেন? আল্লাহ তা’আলা ভালবেসে আমাদের মানুষ জাতিদের সৃষ্টি করেছেন। তাই মহান
রাব্বুল আলামিন কোন মানুষের কখনই অকল্যাণ চান না। মানুষকে মানজিলে মাকছুদে পৌঁছে
দেয়ার লক্ষ্যে মহান আল্লাহ অগণিত অসংখ্য শিক্ষা প্রদান করেছেন। তার কাছে ক্ষমা
প্রার্থনা করার জন্য রেখেছেন অসংখ্য সুযোগ।
আমরা কখনও মহান আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরিক করব না। মহান আল্লাহ এক ও
অদ্বিতীয় আর এজন্যই তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য আমরা সকলেই সব সময় অল্প
হলেও কিছু আমল করার চেষ্টা করব। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ইসলামের খুটিনাটি
বিষয়গুলো ভালোমতো জেনে রাখতে হবে। তো ইসলামের খুটিনাটি বিষয়গুলোর মধ্যে আমাদের
আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে তাওহীদ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি।
কেননা আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা তাওহীদ কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি সেই
সম্পর্কে জানার জন্য গুগলের সন্ধান করে থাকেন। এজন্য আমরা আজকের এই আর্টিকেলে
আপনাদের সুবিধার কথা ভেবেই তাওহীদ সম্পর্ক বিভিন্ন যাবতীয় তুলে বিস্তারিতভাবে
ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি তাওহীদ সম্পর্কে জেনে না থাকেন তাহলে অবহেলা না
করে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকাড়ে পড়ুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
তাওহীদ অর্থ কি
প্রিয় বন্ধুরা, তাওহীদ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার আগে সবার প্রথমে
তাওহীদ শব্দের অর্থ কি? তা জেনে নেই। তাওহীদ হচ্ছে মূলত আরবি শব্দ থেকে
এসেছে, আর তাওহীদ শব্দের অর্থ হচ্ছে একত্ববাদ এবং অদ্বিতীয় সাবস্ত করা। এখানে
একত্ববাদ বলতে মহান আল্লাহকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে মনে প্রানে স্বীকারোক্তি
দেয়াকে বোঝানো হয়েছে।
আরও সহজভাবে বললে তাওহীদ এর মূল বিষয় হচ্ছে মহান আল্লাহ তা’আলা এক ও
অদ্বিতীয় এবং তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই বা তার কোনো শরিক নেই। একমাত্র
তিনিই সকল প্রশংসা ও ইবাদতের মালিক যা আমাদের সকল মুসিলীম জাতিকে এটি বিশ্বাস
করতে হবে।
তাওহীদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ স্বয়ং বলেছেন যে, মহান আল্লাহর সমতুল্য ও
সমশক্তিমান আর কেউ নেই বা আর কেউ আসবেও না অর্থাৎ কোন কিছুই তার সদৃশ নয়। মহান
আল্লাহ তায়ালাকে সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতা, পালনকর্তা, এক ও অদ্বিতীয় সত্তা,
ইবাদতের যোগ্য হিসেবে একত্ববাদ এবং আনুগত্যের স্বীকৃতি দেওয়ার নামই হচ্ছে
তাওহীদ।
এখানে একত্ববাদ বলতে আমরা যেটা অবশ্যই সত্য বলে জানি তা হল মহান আল্লাহ
তা’আলার এক ও অদ্বিতীয় সত্তাকে বোঝানো হয়েছে। আশা করছি এই অংশটুকু পড়ে
আপনারা তাওহীদ শব্দের অর্থ কি সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, তাওহীদ
কাকে বলে তা জেনে নেওয়া যাক।
তাওহীদ কাকে বলে
আমরা উপরের অংশ থেকে তাওহীদ শব্দের অর্থ কি তা জেনেছি। এবার আমরা ইসলামী
শরীয়তের পরিভাষায় তাওহীদ কাকে বলে তা জেনে নিব। ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায়,
মহান আল্লাহ তায়ালাকে এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে স্বীকারোক্তি দেওয়া এবং তারই
গুণাবলির উপর তাকে অদ্বিতীয় হিসেবে সাব্যস্ত করাকে তাওহীদ বলা হয়। এক কথায়
বললে, মহান আল্লাহকে তার গুণাবলী ও আমাদের সৃষ্টিকর্তা হিসেবে এক ও অদ্বিতীয়
সত্তা গণ্য করাই হচ্ছে তাওহীদ।
📌আরো পড়ুন 👉 গীবত কাকে বলে
জীবনকে পরিপূর্ণরূপে অতিবাহিত বা পরিচালনা করতে হলে আমাদেরকে ইসলামের দেয়া
বিধি বিধান অর্জন করাটা খুবই জরুরি এবং সেই বিধানগুলো অর্জন করতে হলে
প্রয়োজন পরিপূর্ণ বিশ্বাস যা হচ্ছে তাওহীদ। তাওহীদ নিয়ে যেহেতু মহান আল্লাহ
তাআলা স্বয়ং ঘোষণা দিয়েছেন তাই এর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং সেটার উপর
কায়েম করতে হবে।
মহান আল্লাহকে অবশ্যই আমাদের সকলেই এক ও অদ্বিতীয় হিসেবে বিশ্বাস করে তারই
ইবাদত করতে হবে। ইবাদত করার আগে প্রথম দিকে সবচেয়ে বেশি যেই দিকটি প্রাধান্য
পায় সেটি হল মহান আল্লাহ তায়ালার উপর বিশ্বাস পরিপূর্ণ করা এবং সেই সাথে ভরসা
রাখা।
আর ইবাদত করতে হলে মহান আল্লাহর উপর পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস করার এই প্রক্রিয়ার
নাম তাওহীদ। আর এটিি মূলত ঈমানের মূল অংশ। তাওহীদ হল ইসলামের এমন একটি ভিত্তি
যার সাহায্যে ইসলাম ধর্মের মধ্যে দীক্ষিত হওয়া যায় এবং এর পাশাপাশি আমল করা
সহজতর হয়।
পরিশেষে বলা যায় যে, মহান আল্লাহর সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে তার উপরবিশ্বাস
করা এবং তারই প্রতিটা গুণাবলী কে সত্য হিসেবে স্বীকারোক্তি দেওয়াই হল
তাওহীদ। তো আশা করছি এই অংশটুকু পড়ে আপনারা তাওহীদ কাকে বলে তা জানতে
পেরেছেন। এবার চলুন, তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।
তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি
আমরা উপরের অংশে তাওহীদ শব্দের অর্থ কি ও তাওহীদ কাকে বলে সেইসম্পর্কে জানতে
পেরেছি। এ পর্যায়ে আমরা তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি তা জেনে নিব। তাওহীদের
কয়েকটি প্রকারভেদ রয়েছে যার বিস্তারি তথ্য আপনারা পোষ্টের এই অংশে জানতে
পারবেন।
আর তাওহীদের প্রকারভেদগুলো আপনাকে আমাকে সকলেই জেনে নেওয়াটা জরুরি। তাওহীদকে
মূলত ৩ ভাগে ভাগ করা হয় অর্থাৎ তাওহীদ হচ্ছে ৩ প্রকার। এগুলোকে আমরা নিম্নে
সংজ্ঞা অনুযায়ী উল্লেখ করবো। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে তাওহীদের প্রকারভেদ
গুলো জেনে নেওয়া যাক।
- তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ
- তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ
- তাওহীদুল আছমা ওয়াস্সিফাত
1. তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ
নিজের দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মের দ্বারা মহান আল্লাহ তা’আলাকে এক ও অদ্বিতীয়
হিসেবে সাব্যস্ত করা বা সৃষ্টি, রাজত্ব, কর্তৃত্ব ও পরিচালনায় মহান আল্লাহকে
এক হিসাবে বিশ্বাস করাকে তাওহীদুর রুবূবিয়্যাহ বলা হয়।
2. তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ
সন্তুষ্টি লাভের জন্য সকল ইবাদতের একমাত্র অনুগত্য হিসেবে মহান আল্লাহ
তা’আলাকে মনে করাকেই তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ বলে।
3. তাওহীদুল আছমা ওয়াস্সিফাত
মহান আল্লাহ তা’আলার যত গুনাবলী ও নাম রয়েছে সেগুলো মনে প্রানে এক অ
অদ্বিতীয় বলে মনে করাকে বা এককভাবে মহান আল্লাহ তা’আলার ইবাদাত বন্দেগী
করাকে তাওহীদুল আছমা ওয়াস্সিফাত বলে।
আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য যা সাব্যস্ত করেছেন, তাতে কোন পরিবর্তন, কোন রূপ
উদাহরণ ও তার ধরণ বর্ণনা পেশ করা ছাড়া মহান আল্লাহর জন্য তা সাব্যস্ত করলে
তাওহীদ বাস্তবায়ন করা যায়। সুতরাং মহান আল্লাহ তা’আলা নিজেকে যে নামের পরিচয়ে
সাব্যস্ত করেছেন কিংবা যে গুণান্বিত করেছেন, তাঁর উপর আমাদের ঈমান আনয়ন করাটা
আবশ্যক।
তাওহীদের মূল শিক্ষা কি
আপনারা অনেকেরই তাওহীদের মূল শিক্ষা কি সেই বিষয়ে অবগত নন। তাই আমরা আপনাদের
সুবিধার কথা ভেবে তাওহীদের মূল শিক্ষা কি তা এই অংশে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।
তো আপনি যদি তাওহীদের মূল শিক্ষা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পাঠের এই অংশটি
মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
তাহলে এই সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন বলে আশাবাদী। তাওহিদের মূল শিক্ষা হল
মহান আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয়৷ তিনি একমাত্র তাঁরই সত্তা ও গুণাবলিতে
অদ্বিতীয়৷ আর শুধুমাত্র তিনিই সকল ইবাদত ও প্রশংসার মালিক৷ তিনার তুলনীয় আর
অন্য কেউ নেই।
মহান রাব্বুল আলামিন বলেছেন যে কোন কিছুই তার নিকট অনুরূপ নয়৷ মহান আল্লাহ
তা’আলাকে ইবাদতের যোগ্য এক ও অদ্বিতীয় সত্তা, রিজিকদাতা সৃষ্টিকর্তা,
পালনকর্তা হিসেবে বিশ্বাস করার নামই হচ্ছে তাওহিদ৷ মহান আল্লাহ তা’আলার সত্তা
যেমন এক তার সত্তার কেউ ইলাহ নেই, ঠিক তেমনি ভাবে তার গুণাবলীতেও অন্য কেউ শরিক
বা ইলাহ নেই এবং আমরা শুধুমাত্র তারই এবাদত করে থাকি।
ইবাদতে তার সাথে আর অন্য কাউকে কখনই কোনোভাবেই শরিক করা যাবে না। কেননা
তাওহীদের বিপরীত হচ্ছে শিরক অতএব মহান আল্লাহ তা’আলা ব্যতিত অন্য কাউকে
আনুগত্য করলে বা একাধিক মাহমুদের বিশ্বাস করাটা শিরক।
আর আমরা সকলেই জানি যে শিরক করা মহাপাপ। মহান আল্লাহ তা’আলা দুনিয়ার সমস্ত
গুনাহ বা পাপকে মাফ করবে কিন্তু তার সাথে কাউকে শরিক করলে কিংবা শিরক করলে এই
গুনাহ কখনই তিনি মাফ করেবেন না। তাই আমাদের সমস্ত মুস্লীম জাতীকে এ বিষয়ে
সতেতন থেকে তাওহীদের মূল শিক্ষার উপর ভিত্তি করে শুধুমাত্র মহান আল্লাহর
প্রতি দাসত্ব এবং তারই অনুগত্য অর্জন করতে হবে।
তাওহীদের প্রয়োজনীয়তা কি
এই তাওহীদ আনয়ন করার মাধ্যমে মানুষ মহান আল্লাহ তালাকে বিশ্বাস করে, একমাত্র
সৃষ্টি কর্তা এবং পালনকর্তা এই সত্যকে স্বীকার করে নেয়। প্রতিতা মানবজাতির
জীবনে তাওহীদের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তাওহীদের মাধ্যমে মানুষ খুব
সহজেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্জন করতে পারে যেমনঃ
📌আরো পড়ুন 👉 বিশ্বনবী (সা:) এর বিড়ালের নাম কি
- তাওহীদের প্রতি বিশ্বাসঅর্জন করাটা মানবজা্তীর মধ্যে খুদা ভীতি তৈরি করে।
- দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটা মানবজাতির সুন্দর চরিত্র গঠন করতে এই তাওহীদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- মহান আল্লাহর কাছাকাছি আসা যায় মানুষের এই তাওহীদের প্রতি বিশ্বাস রেখে আত্ম সচেতন ও আত্ম মর্যাদাবান হয়ে।
- তাওহীদের প্রতি বিশ্বাস মহান আল্লাহর প্রতি ভীতি তৈরি করে। এবং এর পাশাপাশি আখিরাতেও সফলতা পাওয়া যায়। এবং সকল মানবজাতীরা আখেরাত মুখী হয়।
তাহলে আপনারা এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে ইসলামের খুঁটি প্রতিষ্ঠা করতে
হলে তাওহীদের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু, কারণ এটার উপরে ইসলামের সমস্ত কার্যক্রম
প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। এমনকি তামান দুনিয়ার সমস্তনবী রাসুলগণ এই ইসলাম প্রচার
করতে গিয়ে সবার আগে এই তাওহীদ প্রচার করেছেন এবং প্রতিটা মানবজাতির
উদ্দেশ্যে হেদায়েতের জন্য সব সময় তাওহীদের ধারণা দিয়ে আসছেন।
তাওহিদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
ইমানের সর্বপ্রথম বিষয় হচ্ছে মূলত তাওহিদ৷ অর্থাৎ আপনি যদি একজন প্রকৃত মুমিন
হতে চান, তাহলে আপনাকে সর্বপ্রথম মহান আল্লাহর একত্ববাদে মনে প্রাণে বিশ্বাস
করতে হবে৷ কেননা তাওহিদে বিশ্বাস ছাড়া কোন মুসলীম ব্যক্তিই ইসলামে প্রবেশ করা
সম্ভব হয় না।
ইসলামের প্রতিটা শিক্ষা ও আদর্শই হচ্ছে মূলত তাওহিদের উপর প্রতিষ্ঠিত৷ তামান
দুনিয়াতে আজ পর্যন্ত যত নবী-রাসূল এসেছেন তারা সকলেই তাওহিদের উপর দাওয়াত
দিয়েছেন৷ সকল নবী রাসূলের দাওয়াতের মূলকথা ছিল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্থ
হচ্ছে আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই৷ নবি রাসুলগণ তাওহিদের শিক্ষা
প্রতিষ্ঠার জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
আমাদের প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মাদ (স.) এজন্য মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন
করেছেন৷ তাই বলা যায় ইমানের মূলই হচ্ছে তাওহিদ৷ আর ইসলামে তাওহিদের গুরুত্ব
অত্যন্ত জরুরি ও অপরিসীম৷
তাওহীদ সম্পর্কে সাধারন জিজ্ঞাসা (FAQs)
তাওহীদ সম্পর্কে কুরআন কি বলে?
তাওহীদ সম্পর্কে কুরআনে উল্লেখ আছে একমাত্র মহান আল্লাহ তা’আলাই এই
মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা ধারক এবং নিয়ন্ত্রক ।
ঈমানের প্রথম বিষয় কোনটি?
ঈমানের প্রথম বিষয় হচ্ছে তাওহীদ।
তাওহিদের বানী কি?
তাওহিদের বানী হচ্ছে 'লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ' অর্থাৎ মহান আল্লাহ ছাড়া কোনো
ইলাহ নেই। এটি মূলত ইসলামের একটি বাণী। এটিকে কালিমাতুত তাইয়্যেবাহ বলা হয়।
আবার এটিকে কালিমাতুত তাওহিদও বলা হয়ে থাকে।
তাওহিদে বিশ্বাসের মূল মন্ত্র কি?
তাওহিদে বিশ্বাসের মূল মন্ত্র হচ্ছে "আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া
কোন উপাস্য নেই, এবং মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল ।" শাহাদা মহান আল্লাহ তা’আলার
একত্বে বিশ্বাস এবং রাসূল (সাঃ) মহান আল্লাহর রাসূল হিসেবে গ্রহণ করা হয়।
তাওহীদ সম্পর্কে আমাদের মতামত
তাওহীদ শব্দের অর্থ কি, তাওহীদ কাকে বলে এই বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি আজকের
এই আর্টিকেলে আমরা তাওহীদ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। ইসলামী শরীয়তের
পরিভাষায়, মহান আল্লাহ তা’আলা যে এক ও অদ্বিতীয় তা স্বীকার করে নেওয়া এবং
মহান আল্লাহর গুণাবলির উপর অদ্বিতীয় হিসেবে সাব্যস্ত করাকেই তাওহীদ বলা হয়।
যদি এক কথায় বা সহজ ভাষায় বলি, তাওহীদ হচ্ছে মহান আল্লাহকে একমাত্র তারই
গুণাবলী ও সৃষ্টিকর্তা হিসেবে সত্তা গণ্য করা। আমরা কখনও মহান আল্লাহর সাথে
অন্য কাউকে শরিক করব না। মহান আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় আর এজন্যই তার কাছে ক্ষমা
প্রার্থনা করার জন্য আমরা সকলেই সব সময় অল্প হলেও কিছু আমল করার চেষ্টা করব।
আপনার যদি তাওহীদ সম্পর্কে কোন ধরণের প্রশ্ন কিংবা মতামত থেকে থাকে, তাহলে
আমাদের অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা তাওহীদ সম্পর্কে আপনার প্রশ্নের বা
মতামতের উত্তর দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। আপনার মূল্যবান সময় অপচয়
করে এতক্ষন ধরে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url