পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া - অল্প পুজিতে ১০টি পাইকারি ব্যবসা 2024

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম। আশা করছি, আপনারা পরিবার পরিজনদের নিয়ে সকলেই সুস্থ আছেন। বিগতদিনগুলোর মতো আজকেও আমরা অত্যন্ত জরুরি একটি টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। সেটি হচ্ছে আপনারা পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া এবং অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবো। তো আপনি কি ২০২৪ সালে এসে অল্প পুজিতে ইউনিক পাইকারি ব্যবসা আইডিয়ার সন্ধান করছেন? তাহলে আপনি সঠিক তথ্য পেতে ঠিক স্থানেই এসেছেন।
পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া

বন্ধুরা, আপনি হয়তো ২০২৪ সালে এসে অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়ে আমাদের এই পোষ্টটি ওপেন করেছেন। পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া জানতে হলে শুরু থেকে শেষ অবদি এই সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে থাকতে হবে। তাহলে আশা করছি আপনি এখান থেকে একটি ব্যবসার আইডীয়া নিয়ে যেকোন পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তাই একেবারেই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ পোষ্টটি গুরুত্ব সহকারে শেষ অবদি পড়তে থাকুন। 
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

উপস্থাপনা - পাইকারি ব্যবসা

বর্তমানে বাংলাদেশের চাকুরির বাজারের যেই করুণ অবস্থা মোট কথা এখন একটি ভালো চাকুরি পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। এজন্য আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা পাইকারি ব্যবসা করার জন্য মোটা অংকের মূলধন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। 

তারা শুধু এইটা ভাবছে যে কোন অল্প পুজিতে পাইকারি ব্যবসা করলে সবচেয়ে ভালো হবে। আবার কোন ধরণের ব্যবসা করলে বেশি লাভবান কিংবা বেনিফিট পাওয়া যাবে এগুলো চিন্তা করতে করতে দিনের পর দিন তারা পিছিয়ে যাচ্ছে।

মূলত আমিরা আজকের তাদের সুবিধার্থে এই পোষ্টে কয়েকটি পাইকারি ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে আলোকপাত করবো যেগুলো আপনি কম পুজিতেই ব্যবসা শুরু করে বেশ লাভবান হতে পারবেন। আশা করছি, আমরা এই সম্পর্কে আপনাকে এমন কিছু লাভবান পরামর্শ দেব যার সাহায্যে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন। তাহলে চলুন, আর বেশি সময়ক্ষেপন না করিয়ে আমাদের মূল আলোচনা শুরু করা যাক। প্রথমে আমরা পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিব।

পাইকারি ব্যবসা কি

পাইকারি ব্যবসা হচ্ছে মুলত পাইকারিভাবে উৎপাদনকারী কারও কাছ থেকে একসাথে অনেক বেশি পণ্য নিয়ে অতঃপর তা একটু বেশি দামে খুচরা বিক্রেতাদের মাঝে সরবরাহ করাকে পাইকারি ব্যবসা বলা হয়। এখানে যিনি উৎপাদনকারী তার কাছ থেকে নেয়া পন্যগুলো ভালোভাবে সংরক্ষণ করার জন্য একটি গুদামের ব্যবস্থা গ্রহন করতে হয়। তারপর সেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী পণ্যগুলো খুচরা ব্যবসায়ীদের মাঝে পন্যগুলো সরবরাহ করা।

আপনাকে যদি আরও সহজ ভাষায় বলি তাহলে পাইকারি ব্যবসা হল যারা পন্য উৎপানকারী অথবা আমদানিকারক তাদের কাছ থেকে বেশি পরিমানের পণ্য কিনে তা খুচরা বাজারে বিক্রয় করে দেওয়াকে পাইকারি ব্যবসা বলে। আশা করছি পাইকারি ব্যবসা সম্পর্কে আপনারা সাধারন ধারণা পেয়েছেন। এবার আসুন পাইকারি ব্যবসার কয়েকটি আইডিয়াগুলো জেনে নেই।

পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৪

আপনারা অনেকেই ২০২৪ সালে এসে গুগলের কাছে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়ে সার্চ করে থাকেন। আপনি হয়তো সঠিক ধারণা কোথাও ঝুজে পাচ্ছেন না এজন্য অনেক বেশি চিন্তিত। তবে এখন চিন্তার কোনো কারণ নেই। কেননা আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে পোষ্টের এই অংশে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়াগুলো সাজিয়েছি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
চা-পাতার পাইকারি ব্যবসা: বাংলাদেশের মানুষের জীবনের সাথে যেই পানীয় সবচেয়ে বেশি জড়িয়ে গেছে সেটি হচ্ছে মূলত চা। আমাদের বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চল চা উৎপাদনের দিক দিয়ে সবচেয়ে অন্যতম। চা-পাতার পাইকারি ব্যবসা করতে হলে আপনার মিনিমাম লক্ষাধিক টাকা থাকতে হবে।

তাহলেই আপনি বেশ ভালোভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে সরাসরি সিলেটের উৎপাদনকারীদের থেকে চাহিদা মোতাবেক চা-পাতা পাইকারিভাবে কিনে এনে সেগুলো বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করতে পারবেন।

ফলের পাইকারি ব্যবসা: পাইকারি ব্যবসা হিসেবে ফলের ব্যবসা অন্যতম। ফল হচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার  যা সকলের কাছেই পছন্দনীয়। বিভিন্ন শহরগুলোতে সকলের কাছেই ফলের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। আপনি যদি ফলের বিশাল সমারোহ দেখতে চান পুরান ঢাকার বাদামতলীতে যেতে হবে।

মূলত সেখান থেকেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা স্বল্প দামে বেশি করে ফল কিনে আবাসিক এলাকার বাজার গুলোতে ফল সরবরাহ করে থাকেন। পাইকারি বাজার থেকে ফল বক্স আকারে বিক্রি হয়। আমাদের দেশের বাজারগুলোতে প্রায় সারা বছরই ফলের রমরমা ব্যবসা হতে যায়। তবে আপনি যদি সিজিনালী ফলের পাইকারি ব্যবসা করতে পারেন তাহলে বেশি লাভবান হতে পারবেন।

মুদি পাইকারি ব্যবসা: মানুষের প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয়  দ্রব্যাদি হচ্ছে মুদির দোকান। সাধারণত এই মুদির দোকান থেকে প্রতিটা মানসিক প্রতিদিনের খাবার সংগ্রহ করে থাকেন। যেমন চাল-ডাল, তেল, আলু, পিঁয়াজ, লবণ, চিনি ইত্যাদির চাহিদা কখনোই কোনভাবে হ্রাস পাবে না। তাই দীর্ঘদিনের নির্ভরতার সহিত পাইকারি ব্যবসা করতে হলে মুদির পাইকারি বিক্রেতা হতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনাকে মোদী পণ্যগুলো সরাসরি বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে পাইকারি দামে ক্রয় করে বিভিন্ন দোকানের কাছে সাপ্লাই দিতে হবে। আপনি যদি সঠিকভাবে কৌশল থাকে এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন তাহলে দীর্ঘ সময় ধরে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসা: প্রিয় পাঠক আপনারা গ্রুপ ভাবে যদি তুলনামূলক স্বল্প পুঁজিতে পাইকারী ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনাদের জন্য সবচেয়ে ভালো ওয়ে হচ্ছে টি-শার্টের পাইকারি ব্যবসা। বর্তমানে বাংলাদেশের কাপড় শিল্পে এমনিতেই বেশ ভালো খ্যাতিমান রয়েছে। আপনাকে পাইকারি ভাবে টি-শার্ট কালেক্ট করার জন্য বিভিন্ন শিল্প কারখানায় খোঁজাখুঁজির ভোগান্তিতে পড়তে হবে না।

সারা বিশ্ব জুড়ে টি-শার্টগুলো মূলত বেশিরভাগ সময় সাশ্রয়ী মূল্যেই তৈরি হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে আগে আপনাকে বেশ কৌশলী পথ অনুসরণ করতে হবে তাহলেই আপনি বেশ লাভবান হতে পারবেন। যেমন এখানে বেশ কৌশলী পথ বলতে বিভিন্ন জাতীয়, ধর্মীয়, আন্তর্জাতিক অন্যান্য উৎসবের মতো বিশেষ দিনগুলোকে কাজে লাগিয়ে পন্যগুলো বাজারজাত করা। 

স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা: স্টেশনারি পণ্যের চাহিদা এত বেশি যে বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে অফিস আদালতে  সব জায়গাতেই এর সমাচার। বর্তমানে স্টেশনারি পণ্যের ব্যবসা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরাঞ্চলগুলোতে পেন্সিল, রাবার, খাতা, কলম, শার্পনার ইত্যাদি জিনিসপত্রের একটা বৃহৎ মার্কেট রয়েছে।

তাই আমার মনে হয় স্টেশনারি পণ্যের চেয়ে পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া আর হতেই পারে না। তবে মনে রাখাটা জরুরী যে এই ব্যবসার মার্জিন অন্যান্য পাইকারি ব্যবসার চেয়ে কিন্তু বেশ কম। মনে হয় বুঝতে পারেন নি? আসুন একটা উদাহরণের মাধ্যমে আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্ছি।মনে করুন আপনি উৎপাদন কারীর কাছ থেকে পাইকারিভাবে পণ্য ক্রয় করলে এক্ষেত্রে তাদের লাভের অংশ থেকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মার্জিন দিয়ে দিতে হয়।

এরপর আপনি যখন খুচরা ব্যবসায় বা দোকানে বিক্রি করবেন তখন আপনার লাভের অংশ থেকে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মার্জিন দিয়ে দিতে হয়। তাহলে ঘর অনুপাতে হিসাব করলে উপলব্ধ মার্জিন থাকে মাত্র ৫ থেকে ১০ শতাংশ। তাই স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসায়ী সাফল্য অর্জন করতে হলে যেগুলো জনপ্রিয়  ব্র্যান্ড রয়েছে সেই ব্যাপারে ভালোভাবে জেনে রাখতে হবে। 

রাসায়নিক কৃষি ব্যবসা: কৃষি প্রধান দেশে প্রায় সকল গ্রাম অঞ্চলের মানুষেরা তাদের জীবনধারণের জন্য কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। শুধু গ্রাম অঞ্চলেই নয় এখন শহরে যাদের জায়গা জমি ফাঁকা রয়েছে সে ফাঁকা জমিতে কৃষিকাজ করার চেষ্টা করছেন। তাই আপনি চাইলে কৃষি কাজে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম গুলো নিয়ে পাইকারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

কৃষি কাজে যেগুলো সরঞ্জাম লাগে সেগুলো হচ্ছে জৈব বীজ, কীটনাশক, ফসলের সার, ভারী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। কৃষি কাজে এগুলো প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির যোগান দেয়া নিয়ে গড়ে উঠেছে বিশাল ব্যবসার মার্কেট। আপনি যদি এই পাইকারি ব্যবসার মার্কেটগুলোতে সুযোগ বুঝে প্রবেশ করতে পারেন তাহলে আপনি বেশ মোটা অংকের অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

কেক, বিস্কুটের পাইকারি ব্যবসা: নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় বা দরকারি খাবার না হলেও বিস্কুট কেক এবং পাউরুটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অধিকাংশ মানুষের সকালের নাস্তা হিসেবে জেলি এবং পাউরুটি ও বিকালের নাস্তা মানেই হচ্ছে চায়ের সাথে বিস্কুট।

আবার অনেকেই রয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত কেক খেতে ভিষণ পছন্দ করেন। বিভিন্ন কারখানায় এসব দিক বিবেচনা করে বা এইগুলা চাহিদা বৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন হাজার হাজার আইটেমের বিস্কুট, কেক, পাউরুটি ইত্যাদি এগুলো তৈরি করা হচ্ছে।

আমাদের মাঝে অনেকেই রয়েছেন যারা শুধু পেশট্রি কেক এর দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করছেন। তাদের দোকানের ব্যবসার সাথে কেকের পাইকারি ব্যবসা করে আসছেন। তাই আপনিও চাইলে বিস্কুট, কেক এর ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে পাইকারি ব্যবসার শুরু করতে পারেন।

মূলত এসব পন্যের চাহিদা কখনোই কমে না বরং এর চাহিদা এতটাই দিনের পর দিন বাড়ছে যা বলাই বাহুল্য। কিছু কিছু সুপারশপে খেয়াল করলে দেখবেন তারা কাঁচামাল সরবরাহ করার জন্য তাদের নিজস্ব লজিস্টিক্স চেইন এর ব্যবস্থা রেখেছেন।

মানে হচ্ছে তাদের নিজস্ব কারখানা, নিজস্ব সাপ্লায়ার ইত্যাদি সবই নিজেদের। এখানে পুঁজির পরিমাণ কম হলেও কিন্তু লাভের পরিমাণ বেশি হয়। এতে আপনার লাভবান হওয়ারও বেশ সম্ভাবনা থাকবে। আশা করছি পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে অধিকাংশ মানুষেরা চাকুরির বাজারের প্রতি হতাশ হয়ে কোনো উপায় খুজে না পেয়ে নিজের একটি ব্যবসা দাড় করাতে চান আর সেই ব্যবসার থেকেই জীবিকা নির্বাহ করতে চাই। তাই তারা অল্প পুঁজিতে একটি লাভবান ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চায় গুগলের কাছে। তাই আমরা তাদের সুবিধার কথা ভেবেই পোষ্টের এই অংশে অল্প পুঁজিতে ব্যবসার আইডিয়া তালিকাবদ্ধভাবে তুলে ধরেছি।

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে স্বল্প পুঁজিতে বেশ কয়েকটি ব্যবসা রয়েছে যেগুলো ব্যবসা আপনি যদি সঠিকভাবে পর্যালোচনা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই লাভবান হওয়া যায় যেমন-
  • ঝাল মুড়ির ব্যবসা
  • চা বিক্রির ব্যবসা
  • কলা বিক্রির ব্যবসা
  • মাছ বিক্রির ব্যবসা
  • ফলের রসের ব্যবসা
  • মধু বিক্রির ব্যবসা
  • ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা
  • হোমমেইড খাবারের ব্যবসা 
  • বিভিন্ন কোর্স বিক্রির ব্যবসা ইত্যাদি।

পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে লেখকের মতামত

পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত আজকের পোষ্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে কমেন্ট করে জানাতে একদমই ভুলবেন না। আর অবশ্যই আপনার প্রিয় জনদের মাঝে এই পোষ্টটি শেয়ার করবেন। যাতে তারাও এই পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া তথ্যগুলো জানতে পারে। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ পোষ্টসমূহ পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url