হিংসা কাকে বলে? হিংসুক মানুষ চেনার উপায় - হিংসা থেকে বাঁচার উপায়
আপনি কি হিংসা কাকে বলে? হিংসা থেকে বাঁচার উপায় ও হিংসুক মানুষ চেনার
উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য জানার জন্য
আমাদের এই পোষ্টটিতে এসেছেন? তাহলে আমাদের আজকের আলোচ্য টপিকগুলি আপনার জন্য
উপকার হতে চলেছে।
কেননা আপনারা অনেকেই গুগলের কাছে এই হিংসা-বিদ্বেষ সম্পর্কে জানার জন্য সন্ধান
করে থাকেন। এজন্য আমরা আজকের আপনাদের সুবিধার কথা ভেবেই হিংসা-বিদ্বেষ সম্পর্কে
বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি হিংসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে
না থাকেন, তাহলে অবহেলা না করে এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকাড়ে পড়ুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
উপস্থাপনা - হিংসা
ইসলাম অন্যের কারও প্রতি হিংসা করা কিংবা প্রতিহিংসাপরায়ণ হওয়াকে সম্পূর্ণরূপে
নিষিদ্ধ বা হারাম ঘোষনা করেছে। আমাদের মানবজাতির মধ্যে একে অপরের প্রতি
হিংসা-বিদ্বেষের স্থলে সামাজিক শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য মহান
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন ‘মহান আল্লাহ তা’আলা নিজ
অনুগ্রহে প্রতিটা মানবজাতিকে যা দিয়েছেন, সে জন্য কি তারা তাদের হিংসা করে?
এছাড়া তিনি আরও বলেছেন, আর সমস্ত হিংসুক থেকে অনিষ্ট থেকে পানাহ চাই, যখন সে
হিংসা বা ঈর্ষা করে। এজন্য আমাদের সকলকেই হিংসা-বিদ্বেষ সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা
জরুরি। তাহলে চলুন, আর বেশি কথা না বাড়িয়ে আমরা প্রথমেই হিংসা অর্থ কি তা
জেনে নেই।
হিংসা অর্থ কি
প্রিয় বন্ধুরা, হিংসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার আগে সবার প্রথমে হিংসা
শব্দের অর্থ কি? তা জেনে নেই। মুলত হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারী হচ্ছে অনৈতিক
মানবচরিত্র। যারা হিংসা করে তাদের প্রত্যেকের ঈমান ও আখিরাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
হিংসা শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে অনিষ্ট, অপকার, ক্ষতি ইত্যাদি।
ইসলামের পরিভাষায় হিংসা শব্দের অর্থ হচ্ছে মহান আল্লাহ তা’আলা অন্যকে যে নিয়ামত
দান করেছেন তাকে হিংসা করা অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে কোন ব্যক্তির কোনো কিছু সহ্য
করতে বা মেনে নিতে না পারা এবং ওই নিয়ামতের ধ্বংস কামনা করা। হিংসুক হচ্ছে,
হিংসাকৃত সেই ব্যক্তির অনুগ্রহের ধ্বংসের আকাঙ্ক্ষী।
হিংসা কাকে বলে
অন্যে কারও জমি বা সম্পদ, সুখ-শান্তিকে বিনষ্ট করে দেওয়ার লক্ষ্যে নিজে এর
মালিকানা পাওয়ার প্রলাপনকেই হিংসা বলা হয়। ইসলামিক শরীয়তে অন্যে কারও প্রতি
ঈর্ষা করাকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ । বর্তমানে মানবজাতীর ভেতরে যতগুলি খারাপ দিক
রয়েছে, তার মধ্যে হিংসা হচ্ছে সবথেকে অন্যতম একটি অংশ।
মানুষের শান্তিপূর্ণ জীবনকে সমাজে একে অপরের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ, কলহ-বিবাদ
ঈর্ষাকাতরতা ইত্যাদি দিনের পর দিন বিষময় করে তোলে। সাধারনত যে ব্যক্তি হিংসা
করে, তার অন্তর ধীরে ধীরে কালিমায় পূর্ণ হয়ে যায়। এজন্য আমাদের সবাইকে এই
হিংসা-বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা সবাইকে হিংসা-বিদ্বেষ
থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান করুন। আমিন।
হিংসা থেকে বাঁচার উপায়
হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারী মানুষেরা অনৈতিক মানবচরিত্রের হয়ে থাকে। এতে
ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুনিয়া ও আখিরাত। হিংসা অর্থ মহান আল্লাহ অন্যকে যে নিয়ামত দান
করেছেন তাকে হিংসা করা বা বা সহ্য করতে না পারা এবং ওই নিয়ামতের অমঙ্গল কামনা
করা।
📌আরো পড়ুন 👉 তাওহীদ কত প্রকার ও কি কি
হিংসুক হলো, হিংসাকৃত ব্যক্তির নিয়ামত (অনুগ্রহের) ধ্বংসের আকাঙ্ক্ষী। হিংসারই
সমার্থক বা আরেক রূপ হলো বিদ্বেষ। বিদ্বেষ পোষণকারী সব সময় মহান আল্লাহর বিশেষ
অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তির মন্দ কামনা করে। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা
সত্যিকার অর্থে হিংসা থেকে রেহায় পেতে চায়।
মূলত আমরা তাদের সুবিধার কথা গভীরভাবে ভেবেই আজকের আর্টিকেলের এই পাঠে হিংসা
থেকে বাঁচার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি হিংসা বিদ্বেষ থেকে
বাঁচতে বা রেহায় পেতে চান তাহলে এই আর্টিকেলের অংশটুকু মনযোগ সহকাড়ে
পড়ুন।
এই হিংসা থেকে বাঁচার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে যেমনঃ
- কৃতজ্ঞ মানুষের সাথে সময় কাটান।
- অন্যদের সাফল্য উদযাপন করার চেষ্টা করা
- নিজে থেকে উদার হতে এবং অন্যকে উদারতা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন
- মহান আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে প্রতিটা কাজ করা।
- বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত দায়িত্বশীলদের কল্যাণ কামনা করা।
- প্রত্যেক মুসলমানদের সাথে মিলেমিশে সংঘবদ্ধ জীবন যাপন করা।
- আপনার জীবনের কল্যাণের দিকে মনোনিবেশ করুন।
- অন্যের সাথে নিজের জীবনের সাথে তুলনা করা করতে হবে।
- যারা অভ্যাসগতভাবে খারাপ জিনিসকে বেশী অধীনস্ত করে এমন লোকদের থেকে এড়িয়ে চলা ইত্যাদি।
এছাড়াও যারা বিভিন্ন কারণে অন্যের প্রতি হিংসা প্রকাশ করে থাকে। দৈনন্দিন জীবনে
যারা হিংসা করে তাদের মধ্যে বহুবিধ কারণে পারস্পরিক শত্রুতা, দাম্ভিকতা, নষ্ট
হওয়ার আশঙ্কা, নিজের অসৎ উদ্দেশ্য ইত্যাদি চলে আসে।
হিংসুক মানুষ চেনার উপায়
আমরা আর্টিকেলের এই পাঠে হিংসুক মানুষ চেনার উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নিব।
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা অন্যের ভালো দেখলেই হিংসা করে থাকে। এজন্য
আমরা অনেকেই তাদের চেষ্টা করি যাতে তাদের এই হিংসা সম্পর্কে ইসলামিক কিছু তথ্য
প্রদান করতে পারি।
কিন্তু সেই হিংসুক মানুষদের আমরা অনেকেই হয়তো চিনতে পারিনা। তাই আজকের এই
আর্টিকেলের এই অংশে হিংসুক মানুষ চেনার উপায় সম্পর্কে তুলে ধরেছি। আপনার নামে
যদি আশেপাশের কেউ মিথ্যা গুজব রটিয়ে বেড়ায় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে সে
মানুষটি আপনাকে হিংসা করে বা সে আপনার প্রতি হিংসুক।
📌আরো পড়ুন 👉 ঈমানের মূল বিষয় কয়টি ও কি কি
মূলত যারা আপনার সাফল্যের অর্জিত কোন বিষয়ে হিংসা করে তারাই আপনার পেছনে মিথ্যা
গুজব রটায়। কেউ যদি আপনার বিরুদ্ধে জনমত তৈরির চেষ্টা করে কিংবা ফোন করে অন্যের
কোন বিষয়ে কান ভাঙ্গিয়ে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সেই ব্যক্তি আপনার প্রতি হিংসুক।
আবার আপনার সাফল্যের পেছনে যখন সবাই বাহবা দিচ্ছে অথবা কেউ আপনাকে সর্বদা ছোট
করে দেখানোর চেষ্টা করছে, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে সেই ব্যক্তি আপনার প্রতি
হিংসুক বা আপনাকে হিংসা করে। এছাড়াও কেউ যদি কথায় কথায় আপনাকে রাগ দেখায় বা
কোন ধরণের কারণ ছাড়াই সব কিছুতে খুঁত ধরে, তাহলে বুঝবেন সে ব্যক্তি হিংসা করছে।
ইসলামের দৃষ্টিতে হিংসা-বিদ্বেষ
আখলাকে সায়্যিআর মধ্যে এই হিংসা বা ঈর্ষা বিষয়টি প্রচন্ড ক্ষতিকর একটি বিষয়।
সাধারনত অন্যের সুখ- শান্তি ও সম্পদ বা জানমাল নষ্ট করে নিজে এর মালিকানা পাওয়ার
কামনা করাকে হিংসা বলা হয়। অন্যের প্রতি হিংসা করাটা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম বা
নিষিদ্ধ। পারস্পরিকভাবে সকল মুসলীম জাতিকে এই হিংসা-বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে।
ইসলামের অনুশীলন মানেই হচ্ছে বিশ্বের সব সৃষ্টির সেবা ও জনকল্যাণ কামনা করা।
আল্লাহ তা’আলা নিজেকে যা কিছু দিয়েছেন, আমাদেরকে সেগুলো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে
হবে। অন্যে কারও দিকেভ লোভ লালসায় পড়ে হিংসা করে হিংসার আগুনে জ্বলেপুড়ে ক্ষতি
ছাড়া আর কোন কিছুই জুটবে না।
কোনো কারণে অন্যের উপর শত্রুভাবাপন্ন দীর্ঘ সময় মনের ভেতরে আক্ষেপ জন্মানোর
নামই বিদ্বেষ। ইসলামের দৃষ্টিতে একে অপররের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা নিষেধ।আমাদের
দেহে যেমন রোগ বালাই আছে, তেমনি আমাদের সকলের আত্মারও রোগ রয়েছে।
আমাদের আত্মা যদি সুস্থ সবল থাকে তাহলে কিন্তু আমাদের বাহ্যিক আচার আচরন কিংবা
ব্যবহারও খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। আমাদের মধ্যে যদি পাপের আত্মার দেখা মিলে
তাহলে আমাদের আচরণেও বিভিন্ন প্রকারের অসঙ্গতি দেখা দিবে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত
মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন- ‘তোমরা হিংসা (অনিষ্ট, অপকার, ক্ষতি) থেকে সর্বদা দূরে
থাকার চেষ্টা করবে।
যেমন আগুন লাকড়িকে জ্বালিয়ে একেবারে ভস্মীভূত করে দেয় তেমনি হিংসা তোমাদের নেক
আমলগুলিকে ধীরে ধীরে বরবাদ করে দেয়।’অন্য এক হাদিসে আমাদের প্রিয়নবী হযরত
মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমাদের আগে যত
প্রকারের মারাত্মক রোগ বালাই ছিলো, সেগুলো তোমাদের মধ্যে পুনরায় চলে এসেছে।
এই হিংসা এবং রেষারেষি তোমাদের সবকিছুকে মুণ্ডিয়ে ফেলে দেয়। এখানে মুণ্ডানো
বলতে চুল মুণ্ডানোকে বোঝানো হয়নি বরং তোমাদের দ্বীনকে মুণ্ডিয়ে দেয়া।
(তিরমিজি)। এজন্য এই হিংসা-বিদ্বেষ মুলত এক ধরণের ভয়ানক সংক্রামক ব্যাধি।
সাধারনত অন্যে কারও সম্পদের মোহ ও পদমর্যাদার লোভ-লালসা থেকেই এই
হিংসা-বিদ্বেষের সৃষ্টি ঘটে।
হিংসা-বিদ্বেষ একজন প্রকৃত মুমিনের ভালো কাজকে নষ্ট বা বিনষ্ট করে দেয়। তাই
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ যরত মুহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাবধানবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘তোমাদের হিংসা-বিদ্বেষ
থেকে সর্বদা নিবৃত্ত থাকতে হবে।
কেননা, হিংসা প্রকৃত মুসলমান জাতির নেক আমল বা পুণ্যগুলো এমনভাবে বিনষ্ট করে
দেয়, যেভাবে আগুনের মাধ্যমে লাকড়িকে জ্বালিয়ে একেবারে নিঃশেষ করে দেয়।’ মহান
য়াল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলকে এই হিংসা-বিদ্বেষ থেকে বেঁচে থাকার তওফিক দান
করুন। আমিন।
হিংসার ক্ষতিকর দিক
হিংসা-বিদ্বেষ মারাত্মক এক ধরণের ক্ষতিকর বিষ যা মূলত সবাইকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
যেই ব্যক্তি হিংসা করে তার যেমন ক্ষতি হয়, ঠিক তেমনি যে ব্যক্তি হিংসা করে সেও
কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। তবে শুধুমাত্র হিংসাই আপনাকে দুনিয়া এবং পরকালের
কল্যাণ বিধ্বস্ত করে দিতে পারে। অন্যের নেয়ামতের উপর বিলুপ্তি কামনা করার নামই
হিংসা।
অর্থাৎ কারও ধন-সম্পদ, সুখ-শান্তি, ইজ্জত-সম্মা্ন এবং উন্নতি দেখে মনে মনে তার
বিলুপ্তি কামনা করাই হিংসা। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি খুবই নিন্দনীয় ও কবিরা গুনাহ।
হিংসাকারীকে মহান আল্লাহ তায়ালা ক্ষনই পছন্দ করেন না। কেননা প্রকৃতপক্ষে হিংসা
মহান আল্লাহ তা’আলার তকদিরের উপর আপত্তির শামিল হয়ে থাকে।
হিংসা মানবজাতিকে দিনের পর দিন অধঃপতনে নিয়ে যায়। ঈর্ষাকাতরতা যদি এক সময়ে
হিংসার পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে মানুষ হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত ঘটিয়ে ফেলতে পারে।
হিংসুক ব্যক্তিরা কখনই অন্যের ভালো কিছু সহ্য বা নিতে পারে না। কাউকে কোনো
ক্ষমতায় অভিষেক হিসেবে দেখতে পারে না। অন্তরে সবসময় জ্বালা অনুভব করে থাকে।
হিংসার ক্ষতিকর দিকসমূহঃ
- হিংসুটের পরিণতি কখনই শুভ হয় না।
- অন্যের স্বাধীনতার পথ রুদ্ধ করে।
- আল্লাহর দৃষ্টিতে সর্বদা ঘৃণিত।
- মানুষের প্রতি মানুষের মায়া-মমতা দিন দিন করে যায়।
- হিংসুক ও বিদ্বেষী মানবজাতি কখনই মনের দিক থেকে শান্তি পায় না।
- এরা সর্বদা নিজেরকে বিরক্তি এবং তিক্ততার মধ্যে ডুবিয়ে রাখে
- হিংসুক ব্যক্তি কোনোভাবেই মনে প্রাণে শান্তি কি জিনিস তা অনুভব করে না।
- হিংসা মানুষের নেক আমল বরবাদ করে ফেলে।
- সর্বদা এক অব্যক্ত যন্ত্রণায় ভুগতে থাকে।
- তারা অন্যকে এমন কিছু করাতে বাধ্য বা প্রেশার করে যা মূলত সে সচরাচর করেনা ইত্যাদি।
যাকে নিয়ে হিংসা করা হয় তার সেরকম ক্ষতি হয় না বরং যেই হিংসা করে সে নিজেই
হিংসার আগুনে দগ্ধ হয়। তা ছাড়া যেই ব্যক্তি হিংসা করে তার নেক আমলগুলো নষ্ট হয়ে
যায়। মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকলে এই হিংসা ও বিদ্বেষ থেকে রক্ষা করুন এবং
সবাইকে মিলেমিশে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।
হিংসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা (FAQs)
হাছাদ শব্দের অর্থ কি?
'হাছাদ' শব্দের অর্থ হচ্ছে হিংসা, রোষ, দ্বেষ, বিদ্বেষ ঘৃণা ইত্যাদি।
হিংসা করলে কি কি ক্ষতি হয়?
হিংসা করলে হিংসুক ও হিংসার শিকার উভয়েরই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হিংসা আখিরাত ও
দুনিয়ার কল্যাণ নষ্ট করে।
হিংসা করলে কি হয়?
উত্তরঃ হিংসা মানজাতিকে অধঃপতনে্র দিকে অগ্রসর করে নিয়ে যায়। ঈর্ষাকাতরতা যদি
হিংসার পর্যায়ে কোনোভাবে চলে যায় তাহলে আক্রোশবশত মানুষ হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত
ঘটাতে সক্ষম। এছাড়া যারা ব্যক্তি হিংসা করে তারা মূলত অন্যের ভালো ফলাফল কিংবা
অভিষেক হওয়াটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেন না। কাউকে ক্ষমতায় অভিষিক্ত হতে
দেখলে প্রতিনিয়ত অন্তরে জ্বালা অনুভব করে।
হিংসা এর অর্থ কি?
হিংসা এর অর্থ হচ্ছে হিংসা বধ, ঈর্ষা, হনন, অনিষ্ট, ক্ষতি পরশ্রীকাতরতা।
হিংসা সম্পর্কে লেখকের মতামত
হিংসা কাকে বলে এই বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হিংসা
সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। হিংসা-বিদ্বেষ হচ্ছে মূলত মারাত্মক এক প্রকার
বিষয়। ক্ষতিকর এ বিষ আমাদের সকল মানবজাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
যার প্রতি হিংসা করা হয় যে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়, ঠিক তেমনি যে ব্যক্তি হিংসা
করে সেও ক্ষতির সম্মুক্ষিন হয়। সুতরাং পরিশেষে বলা যায় যে এই হিংসা প্রতিটা
মানবজাতির দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ নষ্ট করে। আপনার যদি হিংসা-বিদ্বেষ
সম্পর্কে কোন ধরণের প্রশ্ন কিংবা মতামত থেকে থাকে, তাহলে আমাদের অবশ্যই কমেন্ট
করে জানাবেন।
আমরা আপনার প্রশ্নের বা মতামতের উত্তর দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি।
আপনার মূল্যবান সময় অপচয় করে এতক্ষন ধরে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকার জন্য
ধন্যবাদ।
ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url