রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ - রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করি আপনারা সকলেই ভালোই আছেন। আজকে আমরা আপনাদের সামনে একটি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব সেটা হল রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন সম্পর্কে। আপনি কি আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে ইনজেকশন জানতে চেয়ে আমাদের এই পোষ্টিতে এসেছেন? তাহলে আজকের এই পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক উপকার হতে চলেছে। 
রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন

কেননা আজকের সম্পূর্ণ পোস্টজুড়ে আমরা রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন সম্পর্কে আলোক পাত করার পাশাপাশি ফ্রোজেন হিমোগ্লোবিন কি, হিমোগ্লোবিনের কাজ কি, রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কেন কমে যায় ইত্যাদি সহ এই সম্পর্কে আরও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অজানা তথ্যগুলো সাজানোর চেষ্টা করেছি। তাই আমার মনে হয় একেবারেই অবহেলা না করে মনোযোগ দিয়ে এই পোষ্টটি পড়ে জেনে নেওয়া।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

উপস্থাপনা - 

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যাদের রক্তে হিমোগ্লোবিন খুবই কম। তাই তারা হয়তো এই হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উপায় বা মাধ্যমের সন্ধানে রয়েছেন। কিন্তু কোনভাবেই কোন সমাধান পাচ্ছে না। বিশেষ করে বারটি বয়সে এই সমস্যার বেশি দেখা দেয়। 

এজন্য তারা হয়তো নিজের  হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির জন্য ইনজেকশন নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। তবে শুধু চিন্তা ভাবনা করলে হবে না। এটি ব্যবহারের আগে আপনাকে ইনজেকশন সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। অনেকের রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা কম থাকে, যার ফলে বাহ্যিকভাবে তারা দেহে রক্তে হিমোগ্লোবিন প্রবেশ করাতে হয়। 

তাই আজকের এই পোষ্টের সাহায্যে আমরা এই সম্পর্কে আপনাকে এমন কিছু তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করব যাতে আপনি উপকৃত হতে পারবেন বলে আশাবাদী। তাহলে চলুন, আর অতিরিক্ত কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনাতে ফিরে যায়। হিমোগ্লোবিন কি আমরা প্রথমে এই সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিব। 

হিমোগ্লোবিন কি

হিমোগ্লোবিন হচ্ছে মূলত এক ধরনের প্রোটিন যা লোহিত রক্তকণিকায় অবস্থিত রয়েছে। এটি সাধারনত লোহিত রক্ত কণিকাতে অক্সিজেন বহন করে এবং শরীরে বিভিন্ন অংশে যখন অক্সিজেন প্রয়োজন হয় তখন এই হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিন অক্সিজেন বহন করে। 

হিমোগ্লোবিন মূলত গোল আকৃতির হয়ে থাকে কারন এটি গ্লোবুলার প্রোটিন হিসেবে পরিচিত। এটি মূলত একাধিক সাবইউনিট দিয়ে তৈরি হয়ে থাকে। আশা করছি এই অংশ থেকে আপনারা হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারনা পেয়ে গেছেন জানতে পেরেছেন। এবার জানবো, হিমোগ্লোবিনের কাজ কি। 

হিমোগ্লোবিনের কাজ কি

হিমোগ্লোবিন আমাদের রক্তের একটি প্রোটিন। এটা আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকারী দায়িত্ব পালন করে। এটি মূলত আমাদের শরীরের অক্সিজেন ও কার্বন ডাই-অক্সাইড পরিবহনের কাজ করে থাকে। অর্থাৎ এই হিমোগ্লোবিন ফুসফুসের মাধ্যমে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং তা শরীরের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও হিমোগ্লোবিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে।

হিমোগ্লোবিন নির্দিষ্ট কোষ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং সেটি ফুসফুসে নিয়ে যায়। এ দুটি মূলত হিমোগ্লোবিনের প্রধান দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। তবে এই দুটি প্রধান দায়িত্ব বাদেও হিমোগ্লোবিন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হিমোগ্লোবিনের এই ভূমিকাটি হলো রক্তকে লাল দেখানো। অর্থাৎ আপনারা বলতে পারেন রক্ত লাল দেখানোর পিছনে একমাত্র কারণ হলো হিমোগ্লোবিন প্রোটিন।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন

আপনাদের উদ্দেশ্যে এই পর্যায়ে আলোচনা করা হবে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন সম্পর্কে। তবে এটি জানার আগে আপনাদের এটি জেনে রাখা উচিত যে ইনজেকশন কিভাবে আমাদের দেহে কাজ করে এবং কেন হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন দিলে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়।

অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতির চেয়ে ইনজেকশন অনেক তাড়াতাড়ি কাজ করতে সক্ষম এর কারণ হলো ইনজেকশন দেওয়া হয় সরাসরি আমাদের দেহের রক্ত প্রবাহে। যখন এই ইনজেকশন আমাদের রক্ত প্রবাহের সরাসরি দেওয়া হয় তখন সেটি তৎক্ষণা আমাদের দেহে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর কার্যকারিতা কয়েকগণ বৃদ্ধি পায়। এজন্য বিভিন্ন জতিল চিকিৎসার ক্ষেত্রে ইনজেকশন চিকিৎসা ব্যবহার হয়।

নিচে সবচেয়ে কার্যকরী রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন এর নাম ও দাম সম্পর্কে তুলে ধরা হল যাতে আপনারা সহজে সেই নামগুলো জানতে পারেন তার সাথে সেই ইঞ্জেকশন এর বর্তমান বাজার মূল্য সম্পর্কে অবগত হতে পারে। ইনজেকশন গুলোর নাম নিম্নরূপঃ
  • Revofer Injection
  • Folinex Injection
  • Neuro B Injection
আইরনের ক্ষেত্রে: Revofer ইনজেকশন সবথেকে বহুল ব্যবহৃত। এটি রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ার মত ভয়ংকর রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেহেতু Revofer ইনজেকশন বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় ঔষধ প্রস্তুতকার প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যাল এর তৈরিকৃত ইনজেকশন সেহেতু আপনি এটি নির্দ্বিধায় নিতে পারেন। Revofer ইনজেকশন এর দাম ৬৩০ টাকা।

ভিটামিন B12 ইনজেকশন: Neuro বি১ ইনজেকশন এর চেয়ে ভিটামিন B12 ইনজেকশন অধিক  কার্যকর। কেননা এটি মূলত অধিকাংশ সময় দেহের রক্তের কোষ তৈরি করতে সহায়তা করে থাকে।  রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন এর ক্ষেত্রে আপনারা চাইলে নিউরো বি ইনজেকশন অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন। এটিও স্কয়ারের একটি ইনজেকশন। এটির দাম বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে Neuro B Injection এর বর্তমান দাম হলো ৪৫ টাকা।

ফলিক অ্যাসিড ইনজেকশন: আপনি Folinex Injection ব্যবহার করতে পারেন। Folinex Injection নিলে আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে। Folinex Injection মুলত ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এর তৈরি কিছু একটি ইনজেকশন। Folinex Injection এর বর্তমান দাম হচ্ছে ৪৫০ টাকা।

তবে আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা ভুলেও এই ইনজেকশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না কারণ যে কোন হলে সেটি সর্বপ্রথম আপনার নিকটস্থ চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। 
আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ এর নাম জেনে নেই। 

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ

আপনারা অনেকেই গর্ভাবস্থায় রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ এর নাম জানতে চেয়েছেন তাই আমরা আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে পোষ্টের এই অংশে ওশুধের নাম তুলে ধরেছি। দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে বিভিন্ন জটিলতা সহ দেখা দেয় অনেক ধরনের অসুখ। 
📌আরো পড়ুন 👇
তাই আমাদের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। আর রক্তের হোমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে সেক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ সেবনের প্রয়োজন পড়ে। তাহলে আসুন আমরা নিচের অংশ থেকে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ এর নামগুলো জেনে নেই।
  • Ipilex
  • Normanal
  • Hemorif Ds
  • Hemorif
  • Pilestop
  • Hemonor
  • Alvenor450mg+50mg
  • Dioren450mg+50mg
  • Defrol450mg+50
  • Alvenor900+100mg
আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ঔষধ বা ট্যাবলেট নাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয় তা জেনে নেই। 

হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়

আপনারা অনেকেই ভাবেন যে হিমোগ্লোবিন হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে আসলেই হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির বিভিন্ন উপায় অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু আপনাদের জেনে রাখা উচিত হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়। আসলে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে রক্তস্বল্পতার কারণ, রোগীর বয়স এবং রক্তশূন্যতা হওয়ার পরে রোগীর মধ্যে কি কি উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তার উপর। চলুন এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জেনে নেই। 

সাধারণত, পুরুষদের জন্য হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার এবং মহিলাদের জন্য ১২ থেকে ১৫.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার। এই মাত্রার নিচে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা থাকলে রক্তশূন্যতা দেখা দেউ। কিন্তু এটি বিভিন্ন পরিস্থিতি সাপেক্ষে কম বেশি হতে পারে। তবে সাধারণত গড় হিসাবে এটিকে হিমোগ্লোবিনের সার্বজনীন মাত্রা হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।

শরীরে রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয়

একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহে রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে প্রথম দিকে সেভাবে লক্ষণ দেখা না দিলেও ধীরে ধীরে নানান রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই রক্তস্বল্পতা যদি কারও দেহে অনেক বেশি বৃদ্ধি পায় তাহলে নানান প্রকারের দেহে বড় সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। একজন ব্যক্তির দেহে রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয় তা আমরা নিম্নে তুলে ধরেছি। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে সমস্যাগুলো দেখে নেয়া যাক। যেমনঃ
  • বুক ব্যথা
  • শ্বাসকষ্ট
  • দুর্বলতা
  • মাথা ব্যথা
  • হৃদস্পন্দের সমস্যা
  • হার্ট অ্যাটাক
  • হার্টফেলর
  • পেরিফেরাল স্নায়ুতে ক্ষতি
  • হৃদপিন্ডের আকার আগের চেয়ে বড় হয়ে যাওয়া
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে কমে যাওয়া ইত্যাদি।
আশা করছি আপনারা এই অংশ থেকে শরীরে রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয় তা জেনে নেই। 

গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয়

আপনারা অনেকেই গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্ত কম হলে কি কি সমস্যা হয় তা জানতে চেয়েছেন তাই আমরা আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে পোষ্টের এই অংশে সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। গর্ভাবস্থায় শরীরে রক্ত কম হলে যেসব সমস্যা হতে তা নিম্নরুপঃ
  • গর্ভের সন্তানের ওজন কম হওয়া
  • ডেট এর আগেই শিশু জন্মগ্রহণ করা
  • গর্ভের সন্তানের বেড়ে উঠায় ব্যাহত হওয়া
  • গর্ভের সন্তানের দেহের বিভিন্ন অঙ্গ নষ্ট হয়ে যেতে পারে ইত্যাদি।

হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে লেখকের মতামত

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা হিমোগ্লোবিন কি রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন, হিমোগ্লোবিন কত হলে রক্ত দিতে হয়, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কেন কমে যায় ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। আমরা আশা করছি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের মনের মধ্যে এ বিষয়ে যতরকম প্রশ্ন রয়েছে সেগুলো প্রশ্নের উত্তর সহজেই পেয়েছেন।

রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ইনজেকশন সম্পর্কিত আজকের এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতে তারাওরক্তে হিমোগ্লোবিন সম্পর্কে বিস্তারিত অজানা তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবেন। বিভিন্ন রোগ কিংবা ওষুধ সম্পর্কিত অন্যেন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url