ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম | ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকেও প্রতিদিনের মতো প্রয়োজনীয় ও জরুরি টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম ও ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি সেই সম্পর্কে। আমরা অনেকেই হয়তো কোনগুলো ফলের মধ্যে ভিটামিন ডি রয়েছে সেই বিষয়ে অবগত নন। তাই আমাদের সকলেরই উচিত হবে এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে অজানা তথ্যগুলো জেনে নেওয়া।
ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম | ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি

কেননা আমরা হয়তো জানি যে ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। সুতরাং ভিটামিন যুক্ত ফল নিশ্চয় তার বিপরীত নয়। তাই মূলত আমরা আজকের এই সম্পূর্ণ পোষ্ট জুড়ে আপনাদের ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম ও খাবার সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের যাবতীয় তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।এই বিষয়ে এমন কিছু তথ্য দেব যার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন বলে আশাবাদী।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা - ভিটামিন ডি

মানুষের দেহে ভিটামিন ডি খুবই প্রয়োজন। আপনার যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে আপনি চাইলে অবশ্যই ভোরের সূর্যের আলো থেকে নিতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন শাক-সবজিতে, ফলমূলে ভিটামিন ডি বিদ্যমান রয়েছে যেগুলো খেলেও আপনি আপনার দেহের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে পারবেন। তবে তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত মাছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে।

তাই আজকে আমি আপনাদের ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম ও ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি সেই সম্পর্কে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব। এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি অভাবের লক্ষণ, ভিটামিন ডি এর অভাবে কি হয়, ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয় সহ ভিটামিন ডি সম্পর্কে আরও প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।

তাই আপনি যদি এসকল বিষয়ে জেনে না থাকেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি অবশ্যই একেবারে শুরু থেকে শেষ অবদি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। আশা করছি এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি এই সমস্ত বিষয়ে একটি ক্লিয়ার ধারনা জেনে নিতে পারবেন। তাহলে আসুন আর বেশি সময়ক্ষেপন না করে মূল আলোচনা শুরু করা যাক। প্রিয় পাঠক আমরা প্রথমেই ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম জানবো। 

ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম

আমাদের দেহে ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি রয়েছে। যাদের দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয় তাদের নানান ধরনের সমস্যা কি হয়। এই ভিটামিন ডি আমাদের দেহে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অনেক ভালো ভূমিকা পালন করে।

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা হয়তো জানেন না যে কোনগুলো ফলে ভিটামিন ডি থাকে তাই আজকের আর্টিকেলের এই অংশে ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম সম্পর্কে আলোচনা করব।
ভিটামিন ডি এর সবচেয়ে ভালো ও কার্যকরী উৎস হচ্ছে সূর্য। সকালের সূর্যের আলোতে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে সহায়তা করে। তবে অনেকেই হয়তো রোদে খুব বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারেনা।
আর সূর্যের আলোতে বেশিক্ষণ বসে থাকলেও অনেকের ত্বকের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। এটা মোটেও কেউ চায়না। তাই ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি শুকনো ফল রয়েছে যেগুলো নিয়মিত খেলে পারলেও অনেক উপকার পাওয়া যাবে। তো চলুন ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম নিম্নে তুলে ধরেছি সেখান থেকে জেনে নেয়া যাক।

কিসমিসঃ কিসমিসে অধিক পরিমাণে ভিটামিন ডি বিদ্যমান থাকে। এই কিসমিস নিয়মিত খেলে পারলে আশা করা যায় আপনার দেহের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে। তাই যাদের ভিটামিন ডি এর ঘাটতি বা অভাব রয়েছে তারা প্রতিদিন কয়েকটি করে কিসমিস খেতে পারেন।

কাঠবাদামঃ আপনি যদি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিছুটা কাঠবাদাম এক পাত্রে ভিজে রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে খেতে পারেন, তাহলে অনেক উপকার পাবেন। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে একজন মানুষের দেহে যতটুকু ভিটামিন ডি প্রয়োজন ততটুকুই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন ই, কপার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা দেহের নানান সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

আলুবোখরাঃ অনেকে হয়তো জানেনি না যে আলুবোখরাতেও ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়াও এতে ভিটামিন ডি বিদ্যমান থাকার পাশাপাশি ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন এ রয়েছে। এই ভিটামিনগুলো মূলত আমাদের দেহের কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করতে অনেক বেশি সহায়তা করে। অনেকেই আছেন যারা আলুবোখরা খেতে পছন্দ করেন। এই ফলটি খেতে মজাই লাগে তাই আপনি চাইলে এই ফল খেতে পারেন।

শুকনা ডুমুরঃ শুকনা ডুমুরে ভিটামিন ডি বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও এতে যায় ক্যালসিয়াম, , আঁশ, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে যা মূলত আমাদের দেহের হাড়ের স্বাস্থ্য আরও উন্নত করতে অনেক সাহায্য করে।

খেজুরঃ খেজুরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়াও ভিটামিন ডি এর পাশাপাশি এতে আঁশ, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন এবং পটাসিয়াম রয়েছে। এই খেজুর নিয়মিত খেলে পারলে দেহের হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন খনিজের অভাব পূরণ করতে অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

শুকনো খোবানিঃ শুকনো খোবানির মধ্যে ভিটামিন ডি বিদ্যমান রয়েছে এর পাশাপাশি ভিটামিন এ,  পটাশিয়াম এবং ফাইবার বিদ্যমান রয়েছে। তাই আপনি যদি প্রতিদিন এই শুকনো খোবানি খেতে পারেন, তাহলে হাড় ক্ষয়রোধ করতে সহায়তা করবে।

সাধারনত উপরের উল্লিখিত ফলগুলোতে ভিটামিন ডি বিদ্যমান থাকে। তবে এছাড়াও আরও অন্যান্য ফলগুলোতে ভিটামিন ডি বিদ্যমান থাকে। তবে উপরোক্ত ফলগুলোতে বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই আপনারা আপনাদের দেহের ভিটামিন ডি এর অভাব বা ঘাটতি পূরণ করতে উপরের উল্লেখিত ফলগুলো নিয়মিত খেতে পারেন। আশা করছি, ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি

আপনি যদি আপনার শিশুকে সঠিকভাবে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ বা ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার নিয়মিত খাওয়াতে পারেন তাহলে আপনার শিশু সুস্থ সফলভাবে বেড়ে  উঠতে সক্ষম হবে। পক্ষান্তরে আপনারা যদি আপনার শিশুকে ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার নিয়মিত না খাওয়ান, তাহলে আপনার শিশু পরবর্তীতে নানান ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি
তাই আমাদের প্রত্যেক অভিভাবকদের উচিত সন্তানের স্বাভাবিক ও সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ মানে যেগুলো খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে সেগুলো খাবার যুক্ত করা। ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি বা কোন কোন খাবারে ভিটামিন ডি রয়েছে এবং ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা  তা নিচে উল্লেখ করা হলো। 
গরুর কলিজা: গরুর কলিজাতে পর্যাপ্ত ( আমাদের দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে যতটুকু প্রয়োজন) পরিমাণে ভিটামিন ডি। তাই আপনারা যদি ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ করতে চান তাহলে আপনাদের উচিত হবে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে না পারলে সপ্তাহে একদিন হলে গরুর কলিজা খাওয়ার চেষ্টা করা। কেনান গরুর কলিজাতে ভিটামিন ডি বিদ্যমান থাকার পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।

ডিমের কুসুম: একটি সাধারণ এবং খুবই সহজলভ্য খাদ্য হলো ডিম। আর এই ডিম হল ভিটামিন ডি এর প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে থাকে। তাই আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ডিম রাখতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি এর চাহিদা মিটে যাবে।

বিশেষ করে আপনি আপনার সন্তানকে নিয়মিত ডিমের কুসুম খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। কেননা ডিমের কুসুম একজন শিশুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও নিয়ম অনুযায়ী ডিমের কুসুম খেতে পারলে দেহের হাড় ও দাঁত অনেক মজবুত হয়ে উঠবে।

বাদাম: বাদাম খেতে আমরা প্রায় অধিকাংশ মানুষই ভালোবাসি। এই বাদাম বলা যায় ভিটামিন ডি এর উৎস হিসেবে রচিত। তাই আপয়ানারা যদি নিয়মিত বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে আপনার ভিটামিনের ঘাটতি দূর হয়ে যাবে। তবে বাদাম শুধুমাত্র ভেজে খাওয়া ছাড়াও আরো অনেক ভাবেই খাওয়া যেতে পারে, যেমন মনে করুন আপনি চাইলে বাদামের ভর্তা করে খেতে পারেন আবার বাদাম দিয়ে তরকারি রান্না করেও খেতে পারেন।

দুধ: দুধ হচ্ছে আমাদের দেহের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য। বিশেষ করে গরুর দুধে পর্যাপ্ত (আমাদের দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে যতটুকু প্রয়োজন) পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তবে এছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সমূহের উপস্থিতি রয়েছে। 

আপনি যদি নিয়মিত গরুর দুধ পান করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার দেহের ভিটামিন-ডি সহ আরো অন্যান্য ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়ে গেছে। বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, কেউ যদি নিয়মিত গরুর দুধ পান করে তাহলে তার কখনই ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিবে না এবং শরীর সবসময় ঠান্ডা থাকবে।

তৈলাক্ত এবং চর্বিযুক্ত মাছ: সামুদ্রিক মাছে পর্যাপ্ত (আমাদের দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে যতটুকু প্রয়োজন) পরিমাণে ভিটামিন ডি বিদ্যমান রয়েছে। তাই আমাদের সকলেরই নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। এছাড়াও মাছের চর্বি আমাদের দেহের জন্য অত্যান্ত উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।

মাছের চর্বি তে প্রয়োজনীয় সকল ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান রয়েছে তাই আপনারা অবশ্যই খাদ্য তালিকায় নিয়মিত সামুদ্রিক মাছ ও তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে দেখবেন আপনার দেহের ভিটামিন-ডি সহ আরো অন্যান্য ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়ে গেছে।

মাশরুম: বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে মাশরুম খাবার হিসেবে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ভিটামিন ডি এর উৎস সমূহের মধ্য এই মাশরুম অন্যতম। তাই আপনি যদি নিয়মিত মাশরুম খান তাহলে দেখবেন আপনার দেহের ভিটামিন-ডি সহ আরো অন্যান্য ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়ে গেছে। 

দুগ্ধজাতীয় খাবার: দুগ্ধ জাতীয় খাবার বলতে আমরা মাখন, ছানা, পনির, দই ইত্যাদিকে বুঝি। আপনি যদি এগুলো খাবার নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে আপনার দেহের ভিটামিন-ডি সহ আরো অন্যান্য ভিটামিনের চাহিদা পূরণ হয়ে গেছে। ভিটামিন ডি এর চাহিদা পূরণ হবে। কারণ দুগ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি বিদ্যমান রয়েছে। 

কমলার জুস: এছাড়াও আপনি যদি নিয়মিত কমলালেবু খেতে পারেন, তাহলে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হতে পারে এর কারণ হচ্ছে কমলালেবুর জুস রয়েছে পর্যাপ্ত ( আমাদের দেহে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণে যতটুকু প্রয়োজন) পরিমাণে ভিটামিন। তাই আপনি চাইলে খাদ্য তালিকায় নিয়মিত কমলার জুস রাখার চেষ্টা করবেন। 

ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা

আপনারা অনেকেই ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাই আমরা পোষ্টের এই অংশে একটি ছোট তালিকা তুলে ধরেছি। চলুন তাহলে নিচের অংশ থেকে জেনে নেওয়া যাক। 
  • ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারের মধ্যে প্রথমেই আমরা যে খাবারটির কথা বলব সেটি হলো ডিম্মের কুসুম। ডিমের কুসুম ভিটামিন ডি-র একটি উল্লেখযোগ্য উৎস।
  • দুধের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি বিদ্যমান রয়েছে। ভিটামিন ডি এর মতো উপকারী উপাদান থাকার পাশাপাশি গরুর দুধে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা মূলত বাচ্চাদের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • সহজে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করতে খাবারের তালিকায় দইও রাখতে পারেন। পেটের সুরক্ষার জন্য এবং গরম থেকে স্বস্তি পাওয়ার জন্য আপনার শিশুকে নিয়মিত দই খাওয়ানো উচিত।
  • ভিটামিন ডি এর ঘাতটি পূরনের জন্য প্রতিদিন মিনিমাম একটি কমলা খেতে পারেন। এতে ভিটামিন ডি এর পাশাপশি ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
  • মাশরুমে যদি অতি বেগুনি রশ্মি নিযুক্ত করা হয় তাহলে তা থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এটি হচ্ছে মূলত অপ্রাণিজ খাবার যা থেকে আমরা যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি পেয়ে থাকি।
  • ফ্যাটি ফিশ যেমন: ম্যাকরেল, টুনা ও স্যালমন সামুদ্রিক জাতীয় মাছ নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি বিদ্যমান রয়েছে।
  • মাছের তেল বা কড লিভার অয়েলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকার পাশাপাশি ওমেগা থ্রি ও ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা মূলত ভিটামিন ডি-র ঘাটতি বা অভাব পূরণ করার সাথে সাথে আপনার হার্টও সুস্থ রাখে। 
আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম, ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি কি তার একটি তালিকা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন এর পাশাপাশি আমাদের ভিটামিন ডি বেশি খেলে কি হয় সেটা জেনে নেওয়া জরুরি। তাহলে আসুন দেরি না করে এই বিষয়েও জেনে নেই।

লেখকের শেষকথাঃ ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম

আপনারা এতক্ষণে হয়তো ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম এবং ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পেরেছেন। উপরোক্ত বিষয়গুলো আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরে উপকৃত হলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। আর যদি এই পোষ্টের কোন অংশ যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই সেই অংশটুকু কমেন্ট বক্সে জানাবেন। তাহলে, আমরা আপনাকে সেই অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব বুঝিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।

ভিটামিন ডি যুক্ত ফলের নাম সম্পর্কিত আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি অল্প কিছু হলেও জানতে পারেন, তাহলে প্রিয়জনদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। এতে তারাও ভিটামিন ডি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানতে পারবেন। আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি। এমন নিত্যনতুন বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে জরুরি তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url