প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায় - কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। বিগতদিনের
মতো আমরা আজকেও নারী স্বাস্থ্য বা রোগের চিকিৎসা থেকে একটি প্রয়োজনীয়
বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। সেটি হচ্ছে
প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায়, কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়? এই
সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় অজানা তথ্য আলোকপাত করেছি।
আপনি কি এই বিষয়ে জানতে চেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে সঠিক তথ্য খুঁজে
পাচ্ছেন না তাহলে আপনি এখন জায়গাতেই এসেছেন। কেননা আমরা আজকের সম্পূর্ণ
পোস্টজুড়ে প্রেগন্যান্সি নিয়ে বিভিন্ন জরুরি তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই
বিষয়ে সঠিক তথ্যাদি জানতে হলে আপনাকে এই পোষ্টের শেষ অবদি থাকতে হবে। আমরা এই
বিষয়ে আপনাদের এমন কিছু তথ্য্য প্রদান করব যার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন
বলে সর্বোচ্চ আশাবাদী।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
উপস্থাপনা
বর্তমান যুগে এসে আমরা হয়তো অনেকেই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সঠিক নিয়ম
জানিনা। এছাড়াও অনেকে জানেন না যে কোন সময় প্রেগনেন্সি টেস্ট করাতে হয়।
পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার আগে টেষ্ট করব নাকি পরে টেষ্ট করব। যার ফলে অনেক সময় এমনও
দেখা গেছে অনেকের ২ মাস অতিক্রম হয়ে গিয়েছে কিন্তু জানেন না যে
তিনি গর্ভধারণ করেছেন।
এতে অসুবিধা রয়েছে সেটা হচ্ছে গর্ভধারণ করার পরে অনেকেই
অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে নানান সমস্যার জন্য ওষুধপত্র সেবন করে থাকে যেটা প্রথম
টাইমস্টার প্রেগনেন্সির জন্য মারাত্মক ঝুকি ও ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আমাদের
জানতে হবে যে কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়।
তাহলে চলুন আর বেশি সময় অপচয় না করে আপনার মূল্যবান সময়টুকু কাজে লাগিয়ে আমরা
মূল আলোচনায় ফিরে যায়। তবে এই বিষয়ে জেনে নেওয়ার আগে আপনাকে প্রথমে সুস্থ
প্রেগন্যান্সির লক্ষণ ও প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি সেই সম্পর্কে জেনে
নিতে হবে।
সুস্থ প্রেগন্যান্সির লক্ষণ
গর্ভকালীন সময়ে সুস্থ থাকাটা খুব জরুরী। কেননা এই সময়ে মা ও শিশুর দুজনের
একই সঙ্গে সুস্থতা নিশ্চিত করতে হয়। এই সময়ে যদি গর্ভবতী মা ভালো থাকেন
তাহলে গর্ভে থাকা বাচ্চাও অবশ্যই ভালো থাকবে। তাই এজন্য আপনাকে অবশ্যই নিজের
দেহের সুস্থতা পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করা দরকার। গর্ভবতী মায়েদের জন্য সুস্থ
থাকার বেশ কিছু লক্ষণ আমরা নিচে উল্লেখ করেছি। আপনি চাইলে নিচের অংশ হতে
আপনার সাথে মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হতে পারেন।
গর্ভবতী নারীর সুস্থ থাকার যেগুলো লক্ষণ রয়েছে তার মধ্য একটি অন্যতম লক্ষণ হল
তার ওজন বৃদ্ধি পাওয়া। এ সময়ে আপনি যদি খেয়াল করেন ওজন বাড়ছে তাহলে আপনাকে
বুঝে নিতে হবে আপনি সুস্থ রয়েছেন।
এরপর আপনার প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা সেই বিষয়টির উপর একটু নজর
দাড়ি রাখবেন। আপনার রক্তচাপের পরিমাণ যদি স্বাভাবিক থাকে তাহলে আপনাকে
বুঝে নিতে হবে যে আপনি সুস্থ আছেন। কারণ গর্ভকালীন সময়ে সঠিক বা স্বাভাবিক
প্রেসার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি একটি বিষয়।
সুস্থ প্রেগন্যান্সির আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে আপনি ঠিক মতো খাবার গ্রহণ করতে
পারছেন কিনা। অধিকাংশ গর্ভবতী মায়েরা গর্ভকালীন সময়ে খাবার খুব একটা খেতে
পারে না। এটা একটু সমস্যা আবার কমন বিষয় বলতে পারেন। তবে খাবার ঠিকমতো খেতে
না পারলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি দেহে
যতটুকু পুষ্টির দরকার তা ঘাটতি থেকে যায়। তাই গর্ভকালীন সময়ে আপনার সুস্থতা
পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে খাবারের চাহিদার উপর নজর রাখুন।
গর্ভকালীন সময়ে মায়েরা তাদের শারীরিক দিক থেকে নানান সমস্যাজনিত কারণে কষ্ট
পায় ও দুর্বল থাকে। আপনি যদি চলাফেরাই সমস্যা মনে না করেন কিংবা অনুভব না
করেন তাহলে এটাও আপনার সুস্থতার জন্য একটি অন্যতম প্রমাণ হতে পারে।
গর্ভকালীন সময়ে কারও রাতে ঘুমানোর যদি কোনরকম সমস্যা দেখা না হয় এবং আপনার
ঘুম ঠিক ঠাকভাবে হয় তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে আপনি সুস্থ আছেন। কেননা
গর্ভকালীন সময়ে একজন মায়ের সঠিক পরিমাণ ঘুম সুস্থতার একটি বড় লক্ষণ।
সাধারনত উপরের উল্লখিত লক্ষনগুলোই সুস্থ প্রেগন্যান্সির লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত।
এই লক্ষনগুলো আপনারা চাইলে আপনাদের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন। উপরোক্ত লক্ষণগুলো
যদি আপনারা খেয়াল করেন তাহলে বুঝে নিতে হবে যে আপনি সুস্থ রয়েছেন। আশা করছি,
সুস্থ প্রেগন্যান্সির লক্ষণ জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, শুধু প্রেগন্যান্সির
লক্ষণ কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।
প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা প্রেগন্যান্সির লক্ষণগুলো কি কি সেই
সম্পর্কে অবগত নন। তাই আমরা তাদের সুবিধার কথা চিন্তা ভাবনা করে পোষ্টের এই
অংশে আলোচনা করেছি। আপনি যদি এই পাঠটি মনোযোগ সহকাড়ে পড়েন, তাহলে আশা করছি
আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে পারবেন। চলুন তাহলে সময়ক্ষেপন না করে
জেনে নেই।
প্রেগন্যান্সি হওয়ার সাধারনত বেশ কয়েকটি লক্ষণ রয়েছে যেগুলো দেখে অতি সহজে
আপনি বুঝে নিতে পারবেন যে আপনি প্রেগন্যান্ট বা গর্ভধারণ করেছেন কিনা।
যেমনঃ
- পেট ফাঁপা বোধ করা
- অবসাদ বা ক্লান্তি অনুভব করা
- খাবারের স্বাদে বিভ্রান্তি বোধ করা
- গোপনাঙ্গের রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হওয়া
- স্তনে সামান্য ব্যথা অনুভব করা
- বমি বমি (অধিকাংশ সময়) ভাব হওয়া
- সাদা স্রাব আগের চেয়ে বেড়ে যাওয়া
- তলপেটে তীব্র ব্যাথা অনুভব করা
- একটু পর পর প্রেশাবের চাপ লাগা ইত্যাদি।
সাধারনত উপরের উল্লখিত লক্ষণগুলোই হচ্ছে প্রেগন্যান্সির প্রাথমিক লক্ষণ
হিসেবে বিবেচিত। তবে অনেকের ক্ষেত্রে সবগুলো লক্ষণ না-ও দেখা দিতে পারে। আবার
অনেকের ক্ষেত্রে আরও অন্যান্য লক্ষণ খেয়াল করা যেতে পারে।
তবে স্বাভাবিকভাবে উপরোক্ত লক্ষনগুলোই লক্ষ্য করা হয়। আশা করছি
প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কি কি তা জানতে পারলেন। এবার চলুন, প্রেগন্যান্সি কতদিন
পর বুঝা যায়? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি জেনে নেওয়া যাক।
প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায়
একজন নারীর যখন নিজের শরীরের অবস্থাগত পরিবর্তন দেখা দেয় এবং তার নিজস্ব
অর্থাৎ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী শারীরিক পরিবর্তন হলে একমাত্র তখনি বুঝা
যায় যে কতদিন পর সে প্রেগন্যান্ট বা গর্ভধারণ হতে পারে। তবে কিছু কিছু
নারীরা তাদের ১ম সপ্তাহের দিকেই তার গর্ভাবস্থার কিছু প্রাথমিক লক্ষণ বুঝতে
পারেন, যেমন মুড সুইং করা, অতিসার, মাংসপেশী ব্যথা ইত্যাদি সহ অন্যান্য আরো
শারিরীক কিছু লক্ষণ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায়।
তবে কোন মহিলার যদি পিরিয়ড মিস হয়ে যায় এবং এর পাশাপাশি তিনি যদি
গর্ভাবস্থা সম্পর্কে কোনোরকম লক্ষণ অনুভব করেন, তাহলে তিনি তার পিরিয়ডে ১ম
দিনের পর টেষ্ট করে দেখতে পারে যে সেই গর্ভধারণ বা প্রেগন্যান্ট হয়েছে কিনা।
তবে একটি প্রেগন্যান্সি টেস্ট গর্ভাবস্থা বোঝার জন্য সচবচেয়ে কার্যকরী ও
নিশ্চিত একটি মাধ্যম। প্রেগন্যান্সি টেস্ট এর মাধ্যমে আপনি পরিপূর্ণভাবে অথবা
নির্ভরযোগ্য ভাবে নিশ্চিত হতে পারবেন। এছাড়া আপনি চাইলে মেডিকেল বা ক্লিনিক
থেকে অভিজ্ঞ নার্স বা ডাক্তারের কাছ থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ করে নিতে পারেন।
আশা করছি প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায় তা এতক্ষণে হয়তো জানতে পেরেছেন।
কিন্তু কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়? এই এই সম্পর্কে জেনে
নেওয়া খুবই জরুরী। চলুন তাহলে দেরি না করে এই বিষয়টিও ক্লিয়ার হয়ে
নেই।
কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়
গর্ভধারণ নিয়ে একেক নারীদের একেক রকম আগ্রহ থেকে থাকে। মা হওয়ার মুহূর্তটি
প্রতিটা নারীর জন্য খুবই আনন্দের বিষয়। অনেকে নতুন বা প্রথম গর্ভধারণ করতে
চান, কিন্তু কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়? তারা এই বিষয়ে অবগত নন।
এছাড়া তাদের মনে প্রেগন্যান্সি নিয়ে আরো বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন মনে জাগে।
তাই তাদের সুবিধার কথা ভেবে আমরা পোষ্টের এই অংশে কতদিন পর প্রেগন্যান্সি
টেস্ট করতে হয় সেই বিষয়ে আলোচনা করবো । তাহলে চলুন সময়ক্ষেপণ না করে জেনে
নিই। গর্ভধারণের ১ম সপ্তাহেই একটি মহিলার শুরুতেই তার দেহে কিছু শারীরিক
পরিবর্তন ঘটে। যা থেকে মূলত বুঝতে পারা যায় যে সে গর্ভধারণ করেছেন কিনা।
মূলত সঠিক নিয়মে শারিরিক সম্পর্ক এর মোটামুটি ২০ থেকে ২২ দিন পর
প্রেগন্যান্সি টেষ্ট করলে অনেক সময় বোঝা যায় যে সে প্রেগন্যান্ট কিনা।
শারিরিক সম্পর্ক করার পর পরই কিন্তু একটি নারী গর্ভবতী হয় না। মূলত গর্ভধারণ
হতে শারিরিক সম্পর্ক করার পর বেশ কিছু প্রক্রিয়ার প্রয়োজন পড়ে।
এই প্রক্রিয়ার জন্য সময় লাগার কারণ হচ্ছে একটি মেয়ের গর্ভে শুক্রাণু প্রবেশ
করার পরে সেই শুক্রাণু অন্তত ৫ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এর মধ্যে সেউ
শুক্রাণু যদি ডিম্বানুর সাথে মিলিত হতে ভ্রুণ স্থাপিত করে ফেলে, তাহলে তখনই
একটি সেই মেয়েটি গর্ভধারণ করবে।
আবার পিরিয়ড মিস হওয়ার ২ সপ্তাহ পরেও প্রেগন্যান্সি কিট দিয়ে প্রেগন্যান্সি
টেস্ট করলে আপনি বাচ্চা কনসিভ করেছেন কিনা তা অতি সহজেই বুঝতে পারবেন। আশা
করছি এতক্ষণে তাহলে কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়? সেই সম্পর্কে
জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। এবার আসুন, পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট
করতে হয়? সেই সম্পর্কেও আমরা জেনে রাখি।
পিরিয়ডের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়
আপনি এখন যদি গর্ভধারণ হতে চান কিংবা না চান, প্রেগন্যান্সি টেস্ট আসলে কখন করা
উচিত, মাসিক মিস হলেই কি টেষ্ট করা উচিত? এ ধরণের প্রশ্ন প্রায় সকল নারীদের
মনেই জাগে। কেননা মাসিক মিস হলেই প্রতিটা নারীদের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি
মারে। যারা গর্ভধারণ করতে চান, তাঁদের মনে আশার আলো দেখা দেয় আর যারা
গর্ভধারণ করতে চান না, তাঁরা অনেক আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
সাধারনত কোনো নারী গর্ভধারণ করলে তখনই তাঁর ইউরিনে HCG নামক এক ধরণের হরমোন
এর উপস্থিতি দেখা যায়। ইউরিন এই হরমোন বিদ্যামান রয়েছে কিনা তা বোঝা যায়
ওটিসি প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিট এর সাহায্যে পরীক্ষা করলে। আপনার পিরিয়ড মিস
হওয়ার বেশ কয়েকটা দিন অপেক্ষা করে তারপরে পরীক্ষা করুন। খুব বেশি তাড়াহুড়া
করলে টেষ্ট রিপোর্ট ভুল আসার সম্ভাবনা আছে।
আপনার পিরিয়ড যদি প্রতি মাসেই একটু পিছিয়ে যায় কিংবা অনিয়মিত হয়, তাহলে আপনার
পিরিয়ড শেষ হওয়ার দিনে থেকে অন্তত ১ মাসের বেশি বা ৪০ দিন অপেক্ষা করে টেস্ট
করুন। ভোর বেলা ঘুম থেকে উঠে আপনার প্রথম প্রস্রাব দিয়ে প্রেগন্যান্সি
পরীক্ষা করলে আপনার টেষ্ট রিপোর্ট সঠিক আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
কেননা সকালে প্রস্রাব অনেক ঘনীভূত অবস্থায় বিদ্যমান থাকে।
এজন্য প্রস্রাবে HCG হরমোনের উপস্থিতি খুব ভালোমতো ধরা পড়ে। পিরিয়ডের
নির্দিষ্ট তারিখ আসার পূর্বেই আপনি যদি প্রেগন্যান্সি পরীক্ষা এবং অনেক পানি
পান করে টেস্ট করেন, তাহলে আপনার টেষ্ট রিপোর্ট নেগেটিভ আসার সম্ভাবনা
অনেকটাই বেড়ে যায়।
সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার পূর্বে জন্ম নিরোধক এর উপযুক্ত ব্যবস্থা
নেওয়ার ফলেও অনেক সময় গর্ভে বাচ্চা চলে আসে। তাই আপনার পিরিয়ড মিস হলে অথবা
প্রেগন্যান্সির লক্ষণ খেয়াল করলে কোন ঝুঁকি অবলম্বন না করতে চাইলে যথাসম্ভব
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করিয়ে নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার সঠিক সময়
আপনি যদি জম্মনিয়ন্ত্রক ব্যবহার না করেন ও পিরিয়ডের সময় পার হয়ে যায় তাহলে
আপনি প্রেগনেন্ট হয়েছেন কিনা তা টেস্ট করে দেখতে পারেন। সঙ্গিনীর সাথে মিলিত
হওয়ার কমপক্ষে ২০ থেকে ২২ দিন পরে আপনি যদি প্রেগনেন্সি কিট দিয়ে টেস্ট করেন
তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন যে প্রেগন্যান্ট হইয়েছেন কিনা।
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার উত্তম ও কার্যকরী সময় হচ্ছে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠার
পর। আপনি ভোরের ইউরিন বা প্রস্রাব নিয়ে একটি প্রেগন্যান্সি কিট এর সাহায্যে তা
টেস্ট করুন। ভোরের প্রস্রাব বা ইউরিন নিয়ে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করলে
সেই রিপোর্ট একেবারে কারেক্ট আসে। এজন্য প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার জন্য
আপনাকে অবশ্যই সক্কাল সক্কাল ঘুম থেকে উঠে কিংবা ভোরের ইউরিন নিয়ে টেষ্ট করবেন।
লেখকের শেষ মতামতঃ প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায়
আমরা ইতিমধ্যে প্রেগন্যান্সি কতদিন পর বুঝা যায়? ও কতদিন পর
প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয় এই বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি প্রেগন্যান্সি
নিয়ে আরও বিভিন্ন জরুরি টপিকে আলোকপাত করেছি। আপনি যদি সম্পূর্ণ পোস্টটি
মনোযোগ সহকাড়ে শুরু থেকে একেবারে শেষ অবদি পড়ে থাকেন তাহলে আশাকরি আপনাদের
কাংখিত যেগুলো প্রশ্ন ছিলো সেসকল প্রশ্নের উত্তর আমাদের আজকের পোষ্টের মাধ্যমে
জানতে পেরেছেন।
আপনারা অবশ্যই সঠিক নিয়ম ও সঠিক সময় অনুযায়ী প্রেগন্যান্সি টেষ্ট করবেন তাহলে
দেখবেন ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন। এতক্ষণ ধরে আপনার মূল্যবান সময়টুকু দিয়ে আমাদের
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের নিত্যনতুন ও প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে
আমাদের ট্রিক্সভিউ আইটি ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন।
ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url