অমিডন খেলে কি মোটা হয় - omidon এর কাজ কি ও উপকারিতা জানুন

আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা অমিডন ট্যাবলেট খায়, কিন্তু এই অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা বা এর অন্যান্য দিক সম্পর্কে জানেনা। তাই তাদের কথা চিন্তা ভাবনা করে আজকের এই পোস্টটিতে আমরা অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা, অমিডন কেন খাবেন, অমিডন খেলে কি মোটা হয় কিনা এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোকপাত করার চেষ্টা করব। এ সম্পর্কে জানতে হলে অবহেলা না করে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
অমিডন খেলে কি মোটা হয় - omidon এর কাজ কি ও উপকারিতা জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি যদি কিছুক্কখন সময় অপচয় করে আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকেন, তাহলে এই omidon ট্যাবলেট সম্পর্কে বিস্তারিত যাবতীয় অজানা তথ্যগুলো জেনে নিতে পারবেন। তাই অবহেলিত না হয়ে পুরো পোষ্টটি শেষ অবদি পড়ুন। তাহলে চলুন, আর সময়ক্ষেপন না করে আজকের আলোচ্য বিষয়গুলো শুরু করা যাক। 
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

অমিডন ১০ ট্যাবলেট কেন খাবেন

অ্যামিডন ট্যাবলেটে রয়েছে Domperidone BP যা মূলত আমাদের শরীরের পাকস্থলীর নানান ধরণের কার্যকারিতা উন্নত করে থাকে। তবে, এটা বলা যাবে না যে এই ঔষধ শুধুমাত্র হজমজনিত সমস্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। অমিডন ১০ বিভিন্ন পাচন সমস্যা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে।
এছাড়াও, যারা প্রতিনিয়ত অম্বল জনিত সমস্যায় ভোগেন তাদেরকে চিকিৎসকরা অমিডন ১০ ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই ওষুধ বমি বমি ভাব নিরাময়ের জন্যও ব্যবহৃত হয়। তাছাড়াও এই ওষুধের আরও নানান রোগের ক্ষেত্রে সেবন করা হয়ে থাকে। তবে সেগুলো ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।

অমিডন এর কাজ কি

আমরা হয়তো অনেকে অমিডন ওষুধ ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এইউ ওষুধ কি কি ক্ষেত্রে কাজ করে সেই বিষয়ে অবগত নই। আসুন তাহলে আমরা এই বিষয়ে ক্লিয়ার হয়ে নেই। যারা এই বিষয়ে জানেন না তাদের জেনে নেওয়াটা খুবই জরুরি। তাই চলুন  সময়ক্ষেপন না করে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

omidon  এর কাজ হলো মূলত যেসব মানুষদের পাকস্থলীতে বিভিন্ন ধরণের সমস্যা আছে যেমন কোন কিছু খেলেই মনে হচ্ছে বুকে জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যাচ্ছে, তল পেটে ব্যথা অনুভূত হওয়া, এছারাও পেটের অভ্যন্তরীন স্থানে বেশ ফাঁপা অনুভূত হওয়া ইত্যাদিসহ হজমের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় তাদের ক্ষেত্রে অমিডন ১০ অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা মূলত এসব সমস্যার ক্ষেত্রে এই ওষুধ সেবনের নির্দেশনা দিয়ে থাকেন।

এছাড়াও কয়েকটি সমস্যা রয়েছে যেমন অএঙ্কের অল্প খাবার খেলেই মনে হয় পেট ভরে যাচ্ছে, আবার অনেকে খাবার খাওয়ার পরে বদহজম হয়, অনেক সময় পাকস্থলী থেকে খাদ্যগুলো ঢেকুরের মাধ্যমে গলা দিয়ে উপরে উঠে আসে ইত্যাদিসহ এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা  অমিডন ১০ ট্যাবলেট সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকে।

কারণ, এসব সমস্যা নিরাময় করতে অমিডন ১০ ট্যাবলেট অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আশা করছি, omidon এর কাজ কি তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, অমিডন খেলে কি মোটা হওয়া যায় কিনা তা নিচের অংশ থেকে জেনে নেই।

অমিডন খেলে কি মোটা হয়

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত গুগলের কাছে জানতে চায় যে অমিডন ১০ সেবন করলে কি ওজন বাড়ে বা অমিডন খেলে কি মোটা হওয়া যায়? আপনি যদি তাদের দলের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাদের এই প্রশ্নের উত্তরে বলব অমিডন ১০ ট্যাবলেট সেবনে মোটা হওয়া যায় না বা অমিডন ১০ ট্যাবলেট ওজন বাড়ানোর ওষুধ নয়।
কেননা এই ওষুধটি মূলত দেহের গ্যাস্ট্রিক জনিত যত্রকম সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। তাই এই অমিডন ১০ মিগ্রা সেবনে মোটা হওয়া যায় না। তবে এই ট্যাবলেট যদি আপনি নিয়মিত সেবন করেন তাহলে আপনার খাবারের প্রতি রুচি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এতে মোটা হওয়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তাহলে আশা করছি অমিডন খেলে মোটা হয় কিনা বা অমিডন খেলে ওজন বাড়ে কিনা জানতে সক্ষম হয়েছেন।

মনে রাখবেন অমিডন ১০ মিগ্রা ট্যাবলেট শরীরকে মোটা করার উদ্দেশে ব্যবহার হয় না বরং এটি শুধুমাত্র আমাদের দেহের হজম জনিত নানান ধরণের সমস্যা কিংবা বমি বমি ভাব দূরীকরণে ব্যবহার করা হয়। আশা করছি আমি এই বিষয়টি য়াপনাকে বোঝাতে পেরেছি। এবার চলুন, অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতাগুলো জেনে নেই।

অমিডন ট্যাবলেট এর উপকারিতা

আমরা হয়তো অনেকেই অমিডন ট্যাবলেট খেয়ে থাকি, কিন্তু এর উপকারিতাগুলো সঠিকভাবে জানা নেই। মূলত তাদের জন্যই আজকের পোষ্টের এই অংশে এই ওষুধের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। অমিডন ট্যাবলেট এর নানান ধরণের উপকারিতা রয়েছে তার মধ্যে মোট ১০টি কার্যকরী উপকারিতা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
  • যাদের পাকস্থলী জনিত সমস্যা রয়েছে এবং খাবার খাওয়ার কিছুক্ষন পরে বুকে জ্বালাপোড়া শুরু করে তাদের ক্ষেত্রে এই অমিডন খেলে অনেকটা উপশম হয়ে যায়। 
  • তাছাড়াও যাদের পেটে ব্যথা হয় তাদের ক্ষেত্রে অমিডন ১০ খেলে পেট ব্যথা নিরাময় হয়ে যায়। 
  • অনেকের খাবার খেতে অরুচি দেখা দিলে অমিডন ট্যাবলেট খেলে এই সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়ে যায়।
  • যাদের খাবার হজম হতে সমস্যা হয় তাদের ক্ষেত্রেও অমিডন খেলে ভালো কাজ করে থাকে। কারণ অমিডন বদ হজমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
  • বিভিন্ন কারণে যাদের পেট ফাঁপা অনুভূত হয়ে থাকে তারা যদি অমিডন ট্যাবলেটটি খায় তাহলে এই সমস্যা নিরাময় হয়ে যাবে।
  • এছাড়াও অনেকের অল্প খাবার খেলেই পেট ভরে যাওয়া, বিভিন্ন খাবার খাওয়ার পর ঢেকুর উঠা ইত্যাদি সমস্যায় অমিডন ১০ খেলে উক্ত সমস্যাগুলো নির্ণয় করা যায়।
  • আবার অনেকের বেশি পরিমানে খাবার খেলে হজমে সমস্যা হওয়ার ফলে বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তারা যদি অমিডন ট্যাবলেট সেবন করেন তাহলে বমি বমি ভাব অনেকটাই দূর করা যায়।
  • তাছাড়াও পেটে বিভিন্ন গ্যাসজনিত সমস্যা থাকলে এই ওষুধটি সেবন করলে তাদের গ্যাস জনিত সমস্যা দূর করা যায়। 
  • তেল জাতীয় খাবার খেলে অধিকাংশ মানুষেরই গ্যাস হয়ে থাকে সহজে খাবার হজম হতে চায় না। এজন্য আপনি চাইলে আমিডন ট্যাবলেট খেতে পারেন। দেখবেন সমস্যা সমাধান হয়ে গিয়েছে।
  • অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় খাওয়ার পর পাকস্থলী থেকে ঢেকুর তোলার মাধ্যমে গলা দিয়ে খাবার উপরে উঠে আসে এক্ষেত্রে অমিডন ১০ মিগ্রা ট্যাবলেট সেবন করলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
আপনারা যদি গ্যাস জনিত সমস্যা কিংবা বা হজমজনিত সমস্যায় ভোগেন তাহলে অমিডন ট্যাবলেট খেতে পারেন। এছাড়াও অতিরিক্ত পেটে ব্যথা অথবা বিভিন্ন কারণে বমি বমি ভাব দেখা দিলে অমিডন  গ্রহণ করতে পারেন। তাহলে আশা করছি আপনারা অমিডন ট্যাবলেটের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, অমিডন খাওয়ার আগে না পরে খাবেন সেটা জেনে নেই।

অমিডন খাওয়ার আগে না পরে

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে অমিডন সিরাপ অথবা ট্যাবলেট খাবার খাওয়ার আগে খেতে হবে নাকি পরে খেতে হবে? আপনি যদি এই বিষয়ে অবগত না হয়ে থাকেন, তাহলে এই অংশটি মনযোগ সহকাড়ে পড়ুন। সাধারনত অমিডন ট্যাবলেট ভাড়ি খাবার খাওয়ার ঠিক ২০ থেকে ৩০মিনিট আগে খেতে হয়।

তবে মনে রাখবেন অমিডন ১০ ট্যাবলেটটি অবশ্যই ৮ ঘন্টা পর পর খেতে হয়। আপনি চাইলে অমিডন ট্যাবলেট রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সেবন করতে পারেন তবে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী। আশা করছি আপনি হয়তো এতক্ষণে আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জেনে নিতে পেরেছেন। এবার চলুন, অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ তা জেনে নেই।

অমিডন সিরাপ কিসের ঔষধ - omidon syrup

অমিডন সিরাপ সাধারণত বাচ্চাদের সেবন করানো হয়। আর যারা প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে অমিডন ১০ ট্যাবলেট দেওয়া হয়। এই অমিডন সিরাপ বাচ্চাদের পেটের নানান ধরনের সমস্যা দূরীকরণের ক্ষেত্রে দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এছাড়াও আমাদের অনেক প্রাপ্তবয়স্করা আছেন যারা হয়তো ট্যাবলেট খেতে পারেন না, ট্যাবলেট গিলতে সমস্যা হয়। তারা চাইলে অমিডন সিরাপ খেতে পারবেন।

অমিডন সিরাপ মূলত আমাদের দেহের বুক জ্বালাপোড়া এবং পাকস্থলীর সমস্যা দেখা দিলে সেবন করানো হয়। মূলত উপরের উল্লিখিত এসব সমস্যাগুলো কারও দেখা দিলে omidon syrup ব্যবহার করা হয়। আশা করি omidon syrup কিসের ঔষধ তা জেনে নিতে পেরেছেন। এবার আসুন, অমিডন ওষুধ খাওয়ার সময়কালীন করনীয় কি তা জেনে নেই।

অমিডন ওষুধ খাওয়ার সময়কালীন করনীয়

এই ওষুধ অতিমাত্রায় সেবনের ফলে অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব এবং মাথা ঘোড়ানোর কারণ হতে পারে। তাই অনেক মনোযোগ প্রয়োজন হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। যেমন আপনি যতক্ষণ না জানবেন যে এটি কীভাবে আপনাকে প্রভাবিত করবে ঠিক ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি ভাড়ি যানবাহন বা গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকবেন।

এই ওষুধ খাওয়াকালীন সময়ে অ্যালকোহল সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। কারন এর জন্যে সাময়িকভাবে তন্দ্রা ভাব দেখা দিতে পারে। অমিডন ওষুধ এর অনেক উপকারিতা আছে বলে না বুঝে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিত এই ওষুধ সেবন করা যাবে না। 

অমিডন ১০ মিগ্রা ট্যাবলেট সেবনের ফলে অনেক সময় আমাদের ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। তাই এটি সেবনের সাথে সাথে এবং পরে প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে যাতে আমাদের শরীর এর মধ্যে পানি শূন্যতার হাত থেকে রেহায় পেতে পারি।

এছাড়াও কেউ যদি আলসারজনিত সমস্যায় ভোগেন, তাহলে এই ওষুধটি সেবন করা থেকে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। আশা করছি, অমিডন ওষুধ খাওয়ার সময়কালীন করনীয় কি তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, অমিডন ওষুধ খেতে ভুলে গেলে বা মিস ডোজ হলে করনীয় কি তা জেনে নেওয়া যাক।

অমিডন ওষুধ খেতে ভুলে গেলে করনীয়

আপনারা অনেকেই একটি প্রশ্ন করে থাকেন সেটা হচ্ছে অমিডন ওষুধ খেতে ভুলে গেলে করনীয় কি? তাই আমরা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য পোষ্টের এই অংশে এই বিষয়ে আলোকপাত করেছি। আপনি যদি অমিডন ১০ ওষুধের একটি ডোজ মিস করে ফেলেন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব সেই মিস করা ডোজটি সাথে সাথে পূরণ করে নিন।

তবে, আপনার যদি ওষুধের পরবর্তী ডোজের সময় হয়ে যায়, তাহলে আপনি যেই ডোজটি ভুলে গেছেন সেটি এড়িয়ে যান এবং এখন সেই ডোজের সময় হয়েছে সেই ডোজ গ্রহণ করতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার ওষুধের ডোজ মিস হয়ে গেলে তেমন সমস্যা হয় না কিন্তু ওষুধের ডোজ যদি দ্বিগুণ বা মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে আমাদের দেহে নানান ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তাই কোনভাবেই ওশুধের ডোজ দ্বিগুণ বা বেশি করবেন না। আশা করছি অমিডন ওষুধ খেতে ভুলে গেলে করনীয় কি তা জেনে নিতে পেরেছেন। এবার আসুন, অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতাগুলো জেনে নেই।

অমিডন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় সতর্কতা

অমিডন ১০ ট্যাবলেট সেবনের ক্ষেত্রে আপনাকে বেশ কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেই সতর্কতাগুলো হচ্ছে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে অমিডন ওষুধ সেবনের আগে আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো বা অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এরপর তার দেওয়া সঠিক নিয়ম বা নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে।

আবার ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও এই ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই একজন ভালো বা অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এরপর তার দেওয়া সঠিক নিয়ম বা নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া বাচ্ছাদের অমিডন সিরাপ কোনোভাবেই সেবন করানো উচিত হবে না।

এছাড়া যারা কিডনি রোগে ভোগছেন তাদের ক্ষেত্রে এই মেডিসিন অতি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। আবার যারা লিভারের রোগে আক্রান্ত রয়েছেন তাদেরকেও এই ওষুধ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। সাধারণত গুরুতর বা অতি জটিল লিভারের রোগীদের ডাক্তাররা অমিডন ব্যবহার করার পরামর্শ দেয় না।

এই ওষুধটিকে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বা ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। এই ওষুধকে মূলত ৩০ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রার নিচে রাখতে হবে। এছাড়া অতিরিক্ত তাপ, আলো এবং আর্দ্রতা হতে অবশ্যই দূরে রাখতে হবে। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের শেষকথাঃ অমিডন খেলে কি মোটা হয়

পরিশেষে আমরা প্রতিটা ওষুধ সেবনের ক্ষেত্রে বারংবার বলে থাকি যে নিজের রোগ ভালো করার জন্য একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিত নিজে থেকে কোন প্রকারের ওষুধ সেবন করবেন না। যদি ওষুধের একান্তই প্রয়োজন পড়ে তাহলে প্রথমে আপনাকে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে তারপরে তার দেওয়া পরামর্শ মোতাবেক ওষুধ সেবন করতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার রোগ এর ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।

আমরা ইতিমধ্যে অমিডন খেলে কি মোটা হয়, খেন খাবেন, এর উপকারিতাসহ এই ওষুধ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি। আপনারা হয়তো এই অমিডন ওষুধ সম্পর্কে এতক্ষণে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। তবে আপনার যদি এই বিষয়ে কোন ধরণের মতামত বা প্রশ্ন মনে থেকে থাকে, তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না।

ওমিডন ওষুধ সম্পর্কিত আজকের এই পোস্টটি ভালো লাগলে প্রিয়জনদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। এতে তারাও এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। বিভিন্ন মেডিসিন বা ওষুধ সম্পর্কিত অন্যেন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমাদের ট্রিক্সভিউ আইটি ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url