বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল টেস্ট কি কি - মেডিকেল টেস্ট কোথায় করানো হয়
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা পরিবার-পরিজনদের নিয়ে সকলেই
ভালো আছেন। আমরা আপনাদের সামনে আজকেও আগের দিনগুলোর মতো একটি নতুন টপিক নিয়ে
হাজির হয়েছি। আজকের মূল আলোচ্য বিষোয় হচ্ছে মূলত বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল
টেস্ট কি কি এবং মেডিকেল টেস্ট কোথায় করানো হয় সেই সম্পর্কে।
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা প্রবাস জীবন কাটানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা এই মেডিকেল টেষ্ট সম্পর্কে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য গুগলের কাছে জানতে চান, এজন্য মূলত আপনাদের কথা চিন্তা করেই এই পোষ্টে আমরা মেডিকেল ফিট সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য প্রদান করব যার মাধ্যমে আপনারা উপকার হত্যে পারবেন বলে আশাবাদী। তাই অবহেলিত না হয়ে সম্পূর্ণ পোস্টটি একেবারে শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইলো।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ
উপস্থাপনা
আমরা যারা প্রবাসে যেতে চায় অর্থাৎ বিদেশে যাওয়ার আগেই মেডিকেল
টেস্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হয়। আপনি যদি এই টেস্ট রিপোর্টে পুরোপুরি ফিট
থাকেন, তাহলে আপনি প্রবাসে যেতে পারবেন। অন্যদিকে মেডিকেল টেস্ট-এ আনফিট হলে
প্রবাসে যেতে পারবেন না। আমরা হয়তো অনেকে জানি যে বিদেশে যাওয়ার
আগে একটি মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হয়।
কিন্তু আমরা অনেকেই হয়তো জানি না যে মেডিকেল টেস্ট কোথায় করানো হয়?
আপনি কি মেডিকেল টেস্ট কোথায় কিভাবে করতে হয় এই নিয়ে অনেক বেশি
চিন্তিত আছেন? অথবা বিদেশ যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট কি কি সেই
সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই আছেন।
কেননা আমরা এই বিষয়ে এমন প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করব যা জেনে আপনি অনেক বেশি
উপকৃত হতে পারবেন পাশাপাশি অন্যদেরও জানাতে পারবেন। তাহলে চলুন, আর কালক্ষেপণ
না করে আমরা মূল আলোচনাতে ফিরে যায়। প্রথমে আমরা জানবো যে মেডিকেল ফিট
কি সেই সম্পর্কে।
মেডিকেল ফিট কি
প্রথমে মেডিকেল ফিট সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেয়া যাক। আপনারা হয়তো অনেকেই
জানেন না যে মেডিকেল ফিট মানে হচ্ছে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা। অর্থাৎ একটি
সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের অধিকারী হওয়া। একজন ব্যক্তি যখন শারীরিকভাবে সুস্থ বা
ফিট থাকে না তখন সে কোন কাজেই মনোযোগী হতে পারে না। আর সুস্থতা যে আসলে কত
বড় নিয়ামত তা একমাত্র অসুস্থ ব্যক্তিই ভালো বুঝবেন।
আর ঠিক সেই মুহূর্তেই বোঝা যায় যে সুস্থতার প্রয়োজনীয়তা আসলে কতটুকু।
মেডিকেল ফিট বলতে সাধারনত সুস্থতাকেই বোঝানো হয়েছে। একজন ফিটনেস ভালো মানুষ
যেভাবে চলাফেরা করতে পারে তা একজন আনফিট মানুষ পারে না। একজন সুস্থ মানুষের
চলাফেরা থেকে শুরু কথাবার্তা বলা কিংবা তার কার্যকলাপের মধ্যে প্রকাশ পায় যে
আসলে সেই ব্যক্তিটি কতটা সুস্থ বা ফিট।
কিন্তু একজন অসুস্থ বা আনফিট মানুষ নিজে থেকে সকল ধরণের কাজ থেকে বঞ্চিত
থাকতে হয়। নির্দিষ্ট কাজগুলো পরিপূর্ণভাবে করতে পারে না। যার ফলে তাদের অন্য
উপায় বা অন্যের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে অন্যের উপর
নির্ভরশীল নাও হওয়া লাগতে পারে।
কিন্তু বিভিন্ন ধরনের কাজ করাটা আসলে তার জন্য অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই
মেডিকেল ফিট থাকা খুবই জরুরী। আশা করছি মেডিকেল ফিট বলতে কী বোঝায় এ বিষয়ে
পরিপূর্ণ ধারণা পেয়েছেন। এবার চলুন, মেডিকেল আনফিট কি সেই সম্পর্কেও
সংক্ষিপ্ত আকারে জেনে নেওয়া যাক।
মেডিকেল আনফিট কি
উপরের আলোচনার মাধ্যমেআপনারা হয়তো ইতিমধ্যে মেডিকেল ফিটনেস কি তা বুঝতে
পেরেছেন। তবে প্রসঙ্গত একটি কথা চলেই আসে যে তাহলে মেডিকেল আনফিট বলতে কী
বোঝায়? চলুন এবার তাহলে আপনাদের এই প্রশ্নের সঠিক উত্তরটা জেনে নেওয়া যাক।
মেডিকেল আনফিট বলতে শারীরিক অসুস্থতা কিংবা শারীরিক অক্ষমতাকে বোঝানো হয়।
আমাদের শরীরের মধ্যে রক্ত মাংস দিয়ে গড়া। সময়ের পরিবর্তনেরসাথে সাথে
আমাদের দেহে নানান ধরনের রোগ বালাই বাসা বাঁধে। যার ফলে আমরা অসুস্থতা অনুভব
করে থাকি। আর এই অসুস্থতাকেই মেডিকেল ভাষায় আনফিট বলা হয়। অর্থাৎ যদি সহজ
ভাবে বলতে চাই তাহলে যেকোনো ধরনের দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল শারীরিক অসুস্থতাকে
আনফিট বলা হয়।
দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অসুস্থতা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে যেগুলোকে মূলত
মেডিকেলে আনফিট হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
আরো পড়ুনঃ মেডিকেল আনফিট হলে করণীয় কি জেনে নিন
- ক্যান্সার (Cancer)
- এইচআইভি (HIV)
- ডায়াবেটিস (Diabetes)
- হৃদরোগ (Heart disease)
- এজমা বা হাপানি (Asthma or wheezing)
- এলার্জির মত বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘস্থায়ী রোগ ইত্যাদি।
তাহলে এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে কোন ব্যক্তির যদি এসব রোগ দেখা দেয়
তাহলে সেই ব্যক্তিকে মেডিকেল আনফিট ঘোষণা করা হয়। আশা করছি মেডিকেল ফিট কি
তা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি মেডিকেল আনফিট কি সেটিও জানতে পেরেছেন। এবার চলুন,
বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল টেস্ট কি কি তা বিস্তারিত নিচের অংশ থেকে জেনে নেওয়া
যাক।
বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল টেস্ট কি কি
আমরা প্রায় সবাই জানি যে বিদেশ যাওয়ার আগে কিছু পূর্ব প্রস্তুতি নিতে হয়।
তার মধ্যে অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে মেডিকেল টেস্ট। যেই টেস্ট
রিপোর্টে আপনি যদি আনফিট হিসেবে বিবেচিত হন তাহলে আপনার বিদেশ যাওয়া বাতিল
হয়ে যাবে।
আর সেই টেস্টে আপনার দেহের নানান ধরণের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়ে
থাকে। সেই পরীক্ষাগুলো করার পর যদি আপনার দেহে রোগ বালাই ধরা পড়ে
তাহলে আপনাকে ঘোষণা করা হবে আপনি আনফিট।
আমরা জানি বিদেশ যাওয়ার আগে কিছু টেস্ট করতে হয় কিন্তু আমরা হয়তো এই বিষয়ে
অবগত নয় যে আসলে কোন কোন টেস্ট করাতে হয়। আপনিও যদি না জানার মধ্যে একজন হয়ে
থাকেন, তাহলে নিচের অংশ থেকে বিদেশ যেতে কি কি টেষ্ট করাতে হয় তা জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ মেডিকেল রিপোর্ট এর মেয়াদ কতদিন থাকে
- মলমূত্র পরীক্ষা (Stool test)
- হেপাটাইসিস পরীক্ষা (Hepatitis test)
- বিভিন্ন রকম শারীরিক পরীক্ষা (Physical test)
- এইচআইভি পরীক্ষা (HIV test)
- এইচএসবিএসজি পরীক্ষা (HSBSG test)
- ভিডিআরএল পরীক্ষা (VDRL test)
- এক্স-রে পরীক্ষা (X-ray test)
- ম্যালেরিয়া পরীক্ষা (Malaria test)
- লেপ্রোসি পরীক্ষা (Leprosy test)
- টিউবারকিউলোসিস পরীক্ষা (Tuberculosis test)
- মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা (Pregnancy test) ইত্যাদি।
সাধারণত বিদেশ যাওয়ার আগে একজন ব্যক্তির উপরের উল্লেখিত টেস্ট গুলো করতে হয়।
এই টেস্টগুলো করার পর যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকে তাহলে সে ব্যক্তিকে মেডিকেলে
ফিট ঘোষণা করা হবে। তাই আপনি এসব টেস্ট করতে যাওয়ার আগে নিজেকে পরিপূর্ণভাবে
প্রস্তুত করে নিবেন। আশা করছি, বিদেশ যাওয়ার আগে কি কি মেডিকেল টেস্ট করতে
তা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন, মেডিকেল টেস্ট কোথায় করানো হয় তা জেনে নেই।
মেডিকেল টেস্ট কোথায় করানো হয়
মেডিকেল টেস্ট কোথায় করতে বা করানো হয় এই বিষয়ে অধিকাংশ মানুষের জানা নেই।
প্রথমত আপনি যেই দেশে যাওয়ার জন্য যে এজেন্সির মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন সেই
এজেন্সির সাহায্যে মেডিকেল টেস্ট করালে অনেক তাড়াতাড়ি মেডিকেল রিপোর্ট হাতে
পেয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে এজেন্সি আপনাকে যেখানে মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট করতে বলবেন আপনি
সেখান থেকে সহজেই মেডিকেল টেস্ট করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি একটি সুবিধা
পাবেন সেটি হচ্ছে আপনার মেডিকেল আনফিট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।
তবে এছাড়াও আপনি সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোন হাসপাতাল থেকে বিদেশ যাওয়ার
জন্য খুব সহজেই আপনার মেডিকেল টেস্ট করতে পারবেন। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশের
প্রায় প্রতিটা জেলার সরকারি হাসপাতাল গুলোতে মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। আশা
করছি এখন আপনি সহজেই যেকোনো সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আপনার
মেডিকেল টেস্ট করাতে পারবেন।
মেডিকেল টেস্ট করতে কি কি প্রয়োজন হয়
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা জানেন না যে মেডিকেল টেস্ট করতে কি কি
নথিপত্র প্রয়োজন হয়। আপনি বিদেশে যাওয়ার আগে তো অবশ্যই মেডিকেল টেস্ট করাতে
যাবেন। এক্ষেত্রে প্রথমত কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করে জমা দিতে হবে। সেই সকল
কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরেই আপনার মেডিকেল টেস্ট করানো হবে। মেডিকেল টেষ্ট করতে
করাতে কি কি নতিপত্র প্রয়োজন হবে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
- প্রথমত আপনার সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের মোট ৪ কপি ছবি লাগবে
- এরপর আপনার পাসপোর্ট এর মোট ২ কপি ফটোকপি
- জাতীয় পরিচয় পত্রের (National Identity Card) ফটোকপি
- নিবন্ধন আইডির (Registration) ফটোকপি
মনে রাখবেন উপরের উল্লিখিত কাগজপত্রগুলো মেডিকেল করতে যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই
নিয়ে যেতে হবে। তা নাহলে একজন প্রবাসগামী ব্যক্তির মেডিকেল টেস্ট অযোগ্য
ঘোষনা করে হবে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এর মূল কপি প্রয়োজন হতে
পারে।
আপনি যদি মূল কপি সাথে করে নিয়ে যান তাহলে কম ভোগান্তির শিকার হতে হবে। আশা
করছি মেডিকেল টেস্ট করতে কি কি প্রয়োজন হয় সেই বিষয়ে অবগত হতে পেরেছেন।
এবার চলুন, মেডিকেল টেস্ট করতে কত খরচ হয় তা জেনে নেই।
মেডিকেল টেস্ট খরচ কত
আপনি যদি প্রবাসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মেডিকেল টেষ্ট করাতে চান, তাহলে মোট কি
পরিমাণ টাকা আপনাকে ব্য্য করতে হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা অনেক কঠিন। তবে
অনুমানিক সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ
হতে পারে। তবে মেডিকেল টেস্ট করতে গেলে ঠিক কত টাকা গুনতে হবে সেই কথা বলা
সম্ভব নয়।
টাকার পরিমান কম বেশি হতে পারে তবে সে ক্ষেত্রে আপনার টেস্টের ওপর নির্ভর
করবে। তবে আমরা যে টাকা উল্লেখ করেছি এই খরচের মধ্যেই মেডিকেল টেস্ট হয়ে
যাবে। আশা করছি বিদেশে যাওয়ার জন্য মেডিকেল টেস্ট করাতে কত টাকা খরচ হতে পারে
তা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন, মেডিকেল রিপোর্ট চেক সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে
নেই।
মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম
আপনি যদি মেডিকেল রিপোর্ট চেক করার নিয়ম নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হয়ে থাকেন
তাহলে আমি বলব এটি নিয়ে তেমন কোন চিন্তা করার কিছু নেই। কেননা বর্তমানে
আপনি খুব সহজেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আপনার নিজের পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল
রিপোর্ট চেক করতে পারবেন।
এই বিষয়ে আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে মেডিকেল
রিপোর্ট চেক করার ধাপ অনুসারে আলোচনা করেছি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটির
মাধ্যমে কাঙ্খিত নিয়মটি জেনে নিতে পারেন। আশা করছি জেনে অবশ্যই অনেক উপকারে
আসবে।
লেখকের শেষ মন্তব্যঃ বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল টেস্ট কি কি
সম্মানিত পাঠক, আমরা ইতিমধ্যে আজকের আর্টিকেলে আমরা ইতিমধ্যে বিদেশ যাওয়ার
মেডিকেল টেস্ট কি কি এবং মেডিকেল টেস্ট কোথায় করানো হয় সেই বিষয়টি
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের আলোচনার মাধ্যমে
আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জেনে গেছেন।
বিদেশ যাওয়ার মেডিকেল টেস্ট সম্পর্কিত আজকের এই বিষয়টি ভালো লাগলে আপনার
পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতে তারাও এই তথ্য জেনে উপকার হতে
পারবেন। আপনার মূল্যবান সময়টুকু দিয়ে আজকের সম্পূর্ণ পোষ্ট্টি পড়ার জন্য
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। এমন আরও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমাদের
ট্রিক্সভিউ আইটি ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো।
ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url