২০২৪ সালের দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এবং দাউদের এন্টিবায়োটিক ওষুধ

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আজকের পোষ্টে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয়ে সম্পর্কে আলোচনা করব সেটি হল দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম। দাউদ বা দাদ হচ্ছে এক ধরনের ছত্রাক জনিত অস্বস্তিকর চর্মরোগ। সকলেই এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে চায় তাই আমরা এই পোষ্টে দাউদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দাউদের ট্যাবলেট এর নাম ও দাউদের এন্টিবায়োটিক, দাম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।
২০২৪ সালের দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এবং দাউদের এন্টিবায়োটিক ওষুধ

এছাড়াও এই পোস্টটিতে আপনারা দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম ও দাউদের এন্টিবায়োটিক ওষুধ নাম জেনে নেওয়ার পাশাপাশি দাউদের মলমের নাম, দাউদের ট্যাবলেটের নাম ও দাম ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। আপনারা যদি এ বিষয়ে জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে একেবারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

ভূমিকা - দাউদের এন্টিবায়োটিক ওষুধ

বর্তমানে অধিকাংশ মানুষেরই দাদ বা দাউদ হয়ে থাকে। এ সময়ে কেউ সঠিকভাবে না জেনে বাজার থেকে যেকোনো ধরনের ক্রিম বা ওষুধ ক্রয় করে ব্যবহার করে যা মোটেও উচিত নয়। এতে ভালো না হয়ে অনেক সময় দেখা যায় দাদ আরও জটিল আকার ধারণ করছে।

তাই দাউদ হলে অবশ্যই ভালোমত জেনেবুঝে এর সঠিক চিকিৎসা করতে হবে। আমরা আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে আজকের পোষ্টে দাউদের ট্যাবলেট এর নাম, ক্রিমের নাম, এন্টিবায়োটিক ওষুধসহ আরও বিভিন্ন তথ্য সাজানোর চেষ্টা করেছি। তাহলে আসুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল টপিকে আলোচনা শুরু করা যাক। আমরা প্রথমে জানবো দাদ দাদ রোগ কীভাবে ছড়ায়? সেই সম্পর্কে।

দাদ রোগ কীভাবে ছড়ায়

এ পর্যায়ে আমরা দাদ বা দাউদ রোগটি কিভাবে ছড়ায় সেটি জেনে নিব। আমরা জানি দাদ হচ্ছে একটি সংক্রামক রোগ। এটি সাধারনত মাইক্রোস্পোরাম (Microsporum), ট্রাইকোফাইটন (Trichophyton), ও এপিডার্মোফাইটন (Epidermophyton) প্রকারের ফাঙ্গাস জাতীয় জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রামণ ঘটায়। এটি সাধারনত ৩ ভাবে ছড়ায় যথা-

দাদ বা দাউদ রোগের জীবাণু রয়েছে এমন পরিবেশ থাকলে, বিশেষ করে স্যাঁতস্যাঁতে স্থান থেকে।
দাদ আক্রান্ত কোনো প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে যেমন: বিড়াল, গরু, ছাগল, কুকুর, ও ঘোড়া। রোগীর কিংবা তার ব্যবহারকৃত জিনিসের সংস্পর্শ থেকে। যেমন: তোয়ালে বা গামছা, চিরুনি, ও বিছানার চাদর ইত্যাদি।

দাদ রোগের লক্ষন কি

দাদ বা দাউদের প্রধান উপসর্গ হচ্ছে র‍্যাশ বা ফুসকুড়ি। সাধারনত এই র‍্যাশটি দেখতে অনেকটা আংটির মতো গোল আকৃতির হয়ে থাকে। তবে রোগীর ত্বকের বর্ণভেদের কারণে এটি কখনও কখনও রূপালি দেখাতে পারে। এছাড়াও ত্বকের আশেপাশের চেয়ে সামান্য হালকা গাঢ় বর্ণ ধারণ করে।

দাউদ রোগে মানবদেহের ত্বকের বর্ণ পরিবর্তনের পাশাপাশি ফুসকুড়ির উপরিভাগে ছোটো ছোটো গোলাকৃতি লালচে দানাযুক্ত হয়। এ ছাড়া আক্রান্ত স্থানে নিচের লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে-
  • আক্রান্ত জায়গায় কিছুটা খসখসে বা শুকনো হয়ে যায় 
  • আক্রান্ত স্থানে প্রচুর পরিমাণে চুলকায়
  • আক্রান্ত স্থানটি ফুলে যাওয়া
  • যাদের মাথায় দাদ হয় তাদের চুল পড়ে যায়
  • আক্রান্ত ত্বকের উপরের লোমগুলো সেগুলো পড়ে যাওয়া
  • আক্রান্ত স্থানে অনেক বেশি চুলকালে চামড়া উঠে কাঁচা রস বের হয়।
উল্লেখিত লক্ষণগুলো যখন আপনি দেখতে পাবেন, তখন বুঝে নিতে হবে আপনার দাদ হয়েছে। তখন যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করাতে হবে। তা নাহলে দেরি করলে আরও বেশি জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে হতে পারে। আশা করছি দাদ রোগের লক্ষনগুলো জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, শরীরের কোন কোন স্থানে দাদ রোগ হয় তা বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

শরীরের কোন কোন স্থানে দাদ রোগ হয়

আমাদের মানবদেহের যেকোনো স্থানে দাদ হতে পারে। যেমন: মাথার ত্বক, বিভিন্ন কুঁচকিতে, হাত, পা, হাত-পায়ের নখ ও পায়ের পাতা ইত্যাদি।

মাথার ত্বকে: মাথার ত্বকে দাউদ আক্রান্ত হলে মূলত আক্রান্ত স্থানে চুল পড়ে যায়। চুল পড়া অংশে গোলাকার, লালচে, ও ছোটো ছোটো আঁইশযুক্ত র‍্যাশ বা ফুশকুড়ি তৈরি হয়। এতে চুলকানিও হতে পারে। মাথার ত্বকের দাদ রোগের ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা দেয়।

পা ও পায়ের আংগুলের ফাঁকে: আবার যদি পায়ে দাদ হয় তাহলে পায়ের পাতা ও গোড়ালিও আক্রান্ত হতে পারে। কিছু গুরতর ক্ষেত্রে পায়ের ত্বকে ফোস্কাও পড়তে দেখা যায়।

কুঁচকিতে: দেহের কুঁচকিতে দাদ রোগে আক্রান্ত হলে সেটি মূলত পুরুষের দুই উরুর ভেতরের দিকের ভাঁজে লাল র‍্যাশ কিংবা ফুশকুড়ি দেখা যায়। সেই র‍্যাশে সাধারনত অনেক চুলকায় এবং আঁইশ থাকে।

দাঁড়িতে: গলার ওপরের অংশে অর্থাৎ দাড়িতেও এই ধরনের রোগ দেখা দেয়। এটিও লাল ফুশকুড়ি হিসেবে দেখা যায়, এতেও আঁইশ এবং চুলকানি হয়। দাঁড়িতে দাদ হলে অনেক সময় ফুশকুড়ির উপরে চলঠা পড়ে যায়। আবার একই সাথে আক্রান্ত স্থানে চুল বা লোম পড়ে যেতে পারে।

আক্রান্ত স্থানভেদে দাদের লক্ষণেও কিছু কিছু ভিন্নতা হতে পারে। যেমন, র‍্যাশ বা ফুশকুড়ির আকারে ভিন্নতা থাকতে পারে। দাদের র‍্যাশ ধীরে ধীরে বড় হয়ে ছড়িয়ে যেতে পারে। আবার কিছু কিছু সময়ে এক বা অকাধিক র‍্যাশ বা ফুশকুড়ি দেখা দিতে পারে।

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি

দাউদের সবচেয়ে ভালো মলম কোনটি বিষয়ে অনেকেই জানতে চায়। চলুন, দাদ রোগের সবচেয়ে ভাল কার্যকরী কিছু মলমের নাম জেনে নেই। দাদের সবচেয়ে ভালো মলমের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
  • Tenafin
  • Ketoconazole
  • Clotrimazole
  • Miconazole
  • Terbinafine
  • Fungidal cream
  • Eberconazole cream
  • Lulizol Cream
  • Lucazol cream
  • Mycofin cream
  • Lulitop Lulinox cream

দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম

দাদ হচ্ছে মূলত একটি ছোঁয়াচে রোগ। আমাদের দেহের ত্বকে বিভিন্ন ছত্রাক জনিত সমস্যার কারণবশত এই দাদ হয়ে থাকে। আপনি যে দাদ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সেটি আগে নিশ্চিত হন। আপনার দেহে কি ধরনের চুলকানি দেখা দিলে বুঝবেন যে আপনি দাদ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সেটি আগে জানতে হবে। প্রথমে এর রোগটি দেহের চাকার মতো ছোট ফুসকুড়ির সৃষ্টি করে এবং সেই আক্তান্ত জায়গাতে চুলকাতে থাকে।

এটি চুলকানোর পরে খুব তাড়াতাড়ি বড় হতে থাকে। এছাড়াও দাদ রোগে আক্রান্ত স্থানটি বৃত্তাকারে বেশি জায়গাজুড়ে ছড়াতে থাকে। দাদে আক্রান্ত স্থানটিতে চুলকানির পরিমাণ অতিরিক্ত বাড়ে যার ফলে সেই স্থানে অধিক জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। আপনার দেহে এ ধরনের সিমটম দেখা দিলে বুঝবেন আপনার দাদ হয়েছে। 

দাদ রোগে আক্রাত্ন হওয়ার পরে নিশ্চয় আপনি এই অস্বস্তিকর সমস্যা নিয়ে বসে থাকবেন না। নিশ্চয়ই এই দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম এর নাম সম্পর্কে জানতে চাইবেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি এ অস্বস্তিকর সমস্যা থেকে আপনি রেহাই পান। দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম বাজারে অনেক ধরনের পাওয়া গেলেও আমি এখানে দুইটি উপকারী ও কার্যকরী ক্রিমের নাম বলব যা ব্যবহার করলে আপনি অবশ্যই পাবেন। 
  • Pevisone
  • Gacozema
উপরের উল্লিখিত এই দুইটি ক্রিম দাউদের জন্য খুবই ভালো কাজ করে থাকে। উপরোক্ত দুটি ক্রিমের মধ্যে আপনি যে কোন একটি ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। তবে অধিকাংশ সময় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা Pevisone ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকে। আশা করছি দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, দাউদের এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে জেনে নেই।

দাউদের এন্টিবায়োটিক

আপনারা অনেকেই দাউদ রোগের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাই আমরা কষ্টের এই অংশে এই সম্পর্কে তালিকা বদ্ধ ভাবে দাউদের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম তুলে ধরেছি। বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে এবং ভারতে দাউদের নানান ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ পাওয়া যায়।

তবে এর মধ্যে কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ রয়েছে আছে যেগুলা খুব বেশি কার্যকারী নয় আবার কিছু অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে যেগুলো খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।। আপনারা যারা দাদ এর সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য দাউদের এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করতে চান তাহলে আমরা নিচে দাউদের কিছু কার্যকারী বা উপকারী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের নাম উল্লেখ করেছি যেমনঃ
  • অমোস্টিন 
  • ফ্লুগাল (Flugal)
  • কানামাইসিন (Aminoglycoside group)
  • নেটিলমাইসিন (Aminoglycoside group)
  • প্যারোমোমাইসিন (Aminoglycoside group)
  • অ্যামিকাসিন (Aminoglycoside group)
  • হেরবিমাইসিন (Aminoglycoside group)
  • জেলডানামাইসিন (Aminoglycoside group)
  • এরটাপেনেম (Carbapenem group)
  • ইমিপেনেম/সিলাস্টাটিন (Carbapenem group)
  • মেরোপেনেম (Carbapenem group) ইত্যাদি।
মূলত উপরের উল্লিখিত এন্টিবায়োটিক ওষুধগুলো দাউদের রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। আপনি যদি দাউদ রোগের জন্য এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করতে চান তাহলে উপরোক্ত ওষুধ গুলোর মধ্যে একজন বিবাহিত চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে পারেন। আশা করি দাউদ এর বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, দাউদের বিভিন্ন মলমের নাম জেনে নেই। 

বিঃদ্রঃ মনে রাখবেন যেকোনো ধরেণের ওষুধ সেবন করার পূর্বে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। 

দাউদের মলমের নাম

দাউদ হচ্ছে খুবই অস্বস্তিকর একটি রোগ। যেই এই রোগে আক্রান্ত হয় একমাত্র সেই বুঝে আসলে এই রোগের কি জ্বালা।এজন্য প্রতিটা আক্রান্ত ব্যক্তিই দাউদ রোগ থেকে মুক্তি পেতে চায়। তবে দাউদ রোগ থেকে মুক্তির জন্য ওষুধ কিংবা ট্যাবলেট এর পাশাপাশি বাজারে বিভিন্ন ধরনের মলম পাওয়া যায়। তার মধ্যে আমরা কার্যকরী কিছু মলমের নাম নিম্নে উল্লেখ করেছি যেমনঃ
  • Pevisone
  • Fungidal cream
  • Topicazole plus
  • Ring Guard 12 mg
  • Oxyphan lotion
  • Fungidal-HC 
  • Clotrimazole cream
  • Terbifin
এছাড়াও এন্টিফাঙ্গাল ক্রিম যেমন
  • Clotrimazole
  • Miconazole
  • Terbinafine
  • Ketoconazole ইত্যাদি।
উপরে দাউদের জন্য কিছু উপকারী মলমের নাম উল্লেখ করেছি। আপনারা যারা দাদ রোগে আক্রান্ত রয়েছেন তারা চাইলে উপরোক্ত মলম গুলো ব্যবহার করতে পারেন। এই মলম গুলো ব্যবহার করলে অতি তাড়াতাড়ি দাউদ থেকে রেহায় পাওয়া যায়। আশা করছি, দাউদের মলমের নাম জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, দাউদের ট্যাবলেট এর নামগুলো জেনে নেই।

বিঃদ্রঃ মনে রাখবেন যেকোন ধরণের মলম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগে অবশ্যই একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।

দাউদের ট্যাবলেট এর নাম

আপনারা হয়তো ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে দাদ খুবই অস্বস্তিকর চুলকানির সমস্যা। যার দাউদ হয়নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। গরমের সিজিনে মূলত এই চুলকানির রোগটি বেশি দেখা যায়। 
এটি প্রথমে সীমিত আকারে দেখা দিলেও সঠিক সময়ে যদি আপনি চিকিৎসা না করান, তাহলে আস্তে আস্তে জটিল সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তাই আপনি যদি দাউদের রোগে আক্রান্ত হন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা করুন। তবে চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নেবেন। আমাদের মাঝে প্রায় অধিকাংশ মানুষ দাউদের ট্যাবলেট এর নাম জানতে চাই। তাই আমরা পোষ্টের এই অংশে দাউদের বেশ কিছু ট্যাবলেট উল্লেখ করেছি যেমনঃ
  • Lucan-R
  • Flugal 
  • Canazole 
  • Grisovin Fp 500 mg 
  • Phexin 500 mg Capsule
  • Terbin 250 mg 
  • Derma 50 mg 
  • Vori 200 mg 
  • Itra 100 mg Capsule
  • Fluconazole
  • Intracon
  • Rainil ইত্যাদি।
সাধারণত উপরের উল্লেখিত ট্যাবলেটগুলো দাউদ রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আপনি যদি এই রোগের সমস্যায় ভুগেন, তাহলে এই ক্যাপসুল বা ট্যাবলেটগুলো নিবন্ধিত চিকিৎসার পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। 

দাদ চুলকানি দূর করার ঔষধ - দাউদ এর সবচেয়ে ভালো ওষুধ

দাউদ হলে সাধারনত আমরা অনেক ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি। কিন্তু সবচেয়ে ভালো এবং কার্যকরী ওষুধ কোনটি এ বিষয়ে হয়তো অনেকেরই অজানা। তাই পোষ্টের এই অংশে আমরা আপনাদের উপকার করার কথা ভেবে দাউদের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী ভালো ওষুধ সম্পর্কে নিম্ন তুলে ধরেছি। দাউদ এর ওষুধ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ও কার্যকরী ওষুধ হলোঃ 
  • Fulgal 50 mg tablet
  • ভরি ২০০
  • Itra 100 mg capsule
  • Derma 50 mg tablet
  • Terbin 250 mg tablet
এই ওষুধগুলো দাউদের ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করে। এর ক্যাপসুলগুলোর যেকোনো একটি একজন ভালো ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী খেলে আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের দাদ রোগ থেকে থেকে রেহায় পাবো। আশা করছি দাউদ এর সবচেয়ে ভালো ওষুধ বা দাদ চুলকানি দূর করার ঔষধ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, দাউদের ক্রিম এর নাম ও দাম জেনে নেই।

দাউদের ক্রিম এর নাম ও দাম

আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা দাউদের ক্রিম এর নাম ও দাম সম্পর্কে জানেন না। মূলত তাদের সুবিধার কথা ভেবে নিচে দাউদ এর ক্রিমের নাম ও দাম এর একটি তালিকা উল্লেখ করেছি। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক।
  • ইকো নেট = ৪০০ টাকা
  • রেনাসন = ৬০ টাকা
  • tarbifin = ২০০ টাকা
  • অক্সিফান = ৯০ টাকা
  • ইকোনাজল = ৩২ টাকা
  • Favisone = ৮৮ টাকা
  • xfin 1% = ৮০ টাকা
  • মাইকোনাজল = ৫৫ টাকা
  • Afun = ৩৫ টাকা
উপরোক্ত উল্লিখিত দাউদের ক্রিম ছাড়াও দাউদের আরও অন্যান্য ক্রিম রয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দাউদের জন্য উপরোক্ত ক্রিমগুলোই ব্যবহার হয়ে থাকে। আশা করছি দাউদের ক্রিম এর নাম ও দাম জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, দাউদের সবচেয়ে ভালো শ্যাম্পুর নাম ও দাম জেনে নেওয়া যাক।

দাউদের সবচেয়ে ভালো শ্যাম্পুর নাম ও দাম

এবার আমরা দাদের সবচেয়ে ভালো সাবান ও শ্যাম্পুর নাম ও দাম জেনে নিব। দাদ রোগের ক্ষেত্রে এইগুলো অনেকে উপকারে আসবে। চিকিৎসকরাও দাদ রোগ দেখা দিলে এসব সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে বলে থাকে। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য নিচে দাদের সবচেয়ে ভালো সাবান ও দাম উল্লেখ করা হলো।
  • কিটোকোনাজল (Ketoconazole) ৭৫ গ্রাম (৪৮৪ টাকা)
  • কিটোকোনাজল (Ketoconazole) ৫০ গ্রাম (৪৫০ টাকা)
  • লুলিকোনাজল (Luliconazole) ৫০ গ্রাম (২০৮ টাকা)
  • লুলিকোনাজল (Luliconazole) ৭৫ গ্রাম (৬১৭ টাকা)
  • ASSURE ৫০ গ্রাম (১০০.০০ টাকা)
  • ASSURE ৭৫ গ্রাম (১০০.০০ টাকা)
উপরোক্ত উল্লিখিত দাউদের শ্যাম্পু ছাড়াও দাউদের আরও অন্যান্য শ্যাম্পু বা সাবান রয়েছে। তবে অধিকাংশ সময়ে দাউদের জন্য উপরোক্ত ক্রিমগুলোই ব্যবহার হয়ে থাকে। আশা করছি দাউদের সবচেয়ে ভালো শ্যাম্পুর নাম ও দাম জানতে পেরেছেন।

লেখকের শেষকথাঃ দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম

আমরা ইতিমধ্যে এই আর্টিকেলে ২০২৪ সালের দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম ওদাউদের এন্টিবায়োটিক ওষুধ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি। আপনারা হয়তো এতক্ষণে দাউদের ওষুধ সম্পর্কে একটা ক্লিয়ার ধারণা পেয়ে গেছেন। আর যদি এই ক্রিম সম্পর্কে কোন ধরণের প্রশ্ন বা মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

দাদ চুলকানি দূর করার ক্রিম সম্পর্কিত আজকের এই বিষয়টি ভালো লেগে থাকলে আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতে তারাও এই সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে উপকার হতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, বিভিন্ন ক্রিম বা মেডিসিন সম্পর্কিত অন্যেন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করার অনুরোধ রইলো।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url