সিপ্রোসিন সিরাপ এর কাজ কি - সিপ্রোসিন সিরাপ এর দাম কত জানুন
প্রিয় পাঠকবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকেও
বিগত দিনগুলোর মতো একটি জরুরি ও প্রয়োজনীয় টপিক নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির
হয়েছি। আজকের পোষ্টের মূল আলোচ্য বিষয়বস্তু হচ্ছে মূলত সিপ্রোসিন সিরাপ এর কাজ
কি ও সিপ্রোসিন সিরাপ নিয়ে আরও বিভিন্ন জরুরি তথ্য সম্পর্কে। আপনি কি এই
সিরাপ সম্পর্কে জানার জন্য আমাদের এই পোষ্টে এসেছেন? তাহলে একেবারে সঠিক স্থানেই
এসেছেন।
কেননা আমরা সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে সিপ্রোসিন সিরাপ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত থাকেন, তাহলে সিপ্রোসিন সিরাপ এর কাজ কি এটা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ, সিপ্রোসিন সিরাপ কেনো খেতে হয়, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং এর দাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই অবহেলা না করে সম্পূর্ণ
পোস্টটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আর্টিকেল সূচিপত্রঃভূমিকা - ciprocin syrup
বর্তমানে সিপ্রোসিন সিরাপটি এলার্জির ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই জন্য
বহুল ব্যবহৃত একটি ওষুধ। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা হয়তো তাদের
বাচ্চাদের এই সিরাপ সেবন করিয়ে থাকে। তবে আজকে এই সিরাপ সম্পর্কে আলোচনা শুরু
করার পূর্বে একটি বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
তা হচ্ছে শুধু এই সিরাপের ক্ষেত্রে নয় বরং প্রতিটা সিরাপ সেবনের আগে
অবশ্যই একজন নিবন্ধিত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং তার
দেওয়া নির্দিষ্ট পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে। তার কারণ
হচ্ছে সঠিক পরামর্শ ব্যতীত ব্যবহার না করলে শরীরে বিভিন্ন ক্ষতিকর
প্রভাব দেখা দিতে পারে।
সিপ্রোসিন সিরাপ মূলত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি (Square
Pharmaceuticals plc) কোম্পানি বাজারজাত করে থাকে। যার জেনেটিক
নাম সিপ্রোফ্লক্সাসিন (Ciprofloxacin)। যারা এই সিরাপ
সম্পর্কে জানেন না তারা অবশ্যই এই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে এই
সিরাপ সম্পর্কে জেনে নিন। তাহলে আসুন, আর আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না
করে মূল আলোচনা শুরু করা যাক। আমরা প্রথমে নিচের অংশ থেকে সিপ্রোসিন
সিরাপ সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিব।
সিপ্রোসিন সিরাপ কি
সিপ্রোসিন সিরাপ হলো মূলত এমন একটি অ্যান্টিবায়োটিক যা আমাদের দেহের বিভিন্ন
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হাত থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। এটিকে
আবার অনেকেই সিপ্রোসিন ড্রাই সাসপেনশনও (Dry suspension) বলে থাকে।
তবে জেনে রাখা ভালো যে এই সিরাপে সক্রিয় উপাদান মূলক হিসাবে
সিপ্রোফ্লক্সাসিনের আধিক্যতা রয়েছে। যা মূলত ব্যাকটেরিয়ার হার বা পরিমাণ
বেড়ে যাওয়া থামিয়ে দেয় এবং শেষ পর্যন্ত সেই ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সহায়তা
করে থাকে।
আমাদের শরীরে বিশেষ করে পাকস্থলী, অন্ত্র, ফুসফুস, শ্বাসযন্ত্রের
ট্র্যাক্ট জয়েন্টগুলোতে যে নরম টিস্যুগুলো রয়েছে, সে টিস্যুগুলিতে
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের মাত্রা নিরাময় করতে এটি ব্যবহৃত হয়। যার ফলে ৮০%
রোগের পরিমাণ কমে যায় দেহের। সিপ্রোসিন সিরাপ কোন রোগের ওষুধ, কেনো খেতে হয়
বা এর ব্যবহারকালীন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি তা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
সিপ্রোসিন সিরাপ এর কাজ - ciprocin syrup এর কাজ কি
সিপ্রোসিন সিরাপ মূলত একটি অ্যান্টিহিস্টামাইন (Antihistamines),যা মৌসুমের
কারণবশত বিভিন্ন এলার্জি উপসর্গগুলো উপশম করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন
করে থাকে। এটি বিভিন্ন এলার্জি প্রতিক্রিয়াগুলির প্রতি কার্যকারী। এছাড়াও
অ্যান্টি সেরোটোনিন এবং হিস্টামাইনের প্রাকৃতিক উপাদানকে ব্লক করতে সহায়তা
করে।
হিস্টামাইনের রিসেপ্টর এর সাথে সংযোগ করে এলার্জিক প্রতিক্রিয়াগুলো কমাতেও
সাহায্য করে। এটি আপনার দেহের অবাঞ্ছিত প্রতিক্রিয়া গুলি পর্যায়ক্রমে
নিয়ন্ত্রণ করতে হিসেবে কাজ করে এবং সাধারণ এলার্জির উপসর্গ গুলি হ্রাস করে
থাকে। সিপ্রোসিন সিরাপ ব্যবহারের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো এলার্জিক সম্পর্কিত
উপসর্গগুলোর সাথে মোকাবিলা করা, যা হিস্টামাইন নামক প্রতিক্রিয়াকে
নিয়ন্ত্রণ করে।
এই সিরাপ ব্যবহারে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিলে তা বাড়তি প্রেক্ষাপণ করতে
এর অবিলম্বে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়াও এই সিরাপ সেবন করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটা অবশ্যই জরুরি। আশা
করি সিপ্রোসিন সিরাপ এর কাজ কি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।
সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ
আমাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা হয়তো জানেন যে সিপ্রোসিন সিরাপ এর কাজ কি
কিন্তু এই সিরাপটি কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় সেই সম্পর্কে হয়তো
অবগত নন। চলুন তাহলে আমরা এই বিষয়ের একটি ক্লিয়ার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা
করি। সিপ্রোসিন হচ্ছে একটি মূলত এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, যা আমাদের দেহের
বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে যেমনঃ
- ডায়রিয়া হলে (Diarrhea)
- পাতলা পায়খানা হলে (Slimming)
- গনোরিয়া হলে (Gonorrhea)
- আমাশয় দেখা দিলে (Dysentery) এবং
- এমনকি দীর্ঘদিন ধরে জ্বর (Prolonged fever) থাকলেও ব্যবহার করা যায়।
সিপ্রোসিন এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, ব্যক্তির অসুস্থতা সুরক্ষা করতে
সাহায্য করে। তবে, এই সিরাপ ব্যবহারে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন
পাশাপাশি অন্যান্য পুরোপুরি নিরাপত্তা মেনে চলার জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশনা
অনুসরণ করাটা খুবই জরুরি। আশা করছি সিপ্রোসিন কোন রোগের ঔষধ বা কোন কোন রোগের
ক্ষেত্রে ব্যবহার হয় তা জানতে পেরেছেন। এবার আসুন, সিপ্রোসিন সিরাপ কেন খেতে
হয় তা জেনে নেই।
সিপ্রোসিন সিরাপ কেন খেতে হয়
সিপ্রোসিন সিরাপ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানার পরে এখন নিশ্চয় আপনার মনে হয়তো
প্রশ্ন জেগেছে যে সিপ্রোসিন সিরাপ আসলে কেনো খায় বা কোন কোন কারণে এই সিরাপটি
খাওয়া হয়? যদিও এই প্রশ্ন মনে আসাটা খুবই সিম্পল। তাহলে চলুন, কথা না বাড়িয়ে
আপনার মনের প্রশ্নের উত্তরটা জেনে নেই।
সাধারনত যেসব কারণে এই সিরাপ খাওয়া হয়ে তা আমরা নিম্নে তুলে ধরেছি। আপনার
দেহে যদি মৌসুমী এলার্জিক রাইনাইটিস বা অন্যান্য এলার্জিতে সমস্যা থাকে
তাহলে আপনি এই সিরাপ ব্যবহার করতে পারবেন এছাড়াও-
- ঠান্ডা ছুলি (Cold sores)
- হাঁপানি উপসর্গ (Asthma symptoms)
- লিভার রোগ (Liver disease)
- যকৃতের ডিসঅর্ডারস (Liver disorders)
- আগাম অ্যালার্জি (Early allergies)
- খাবার কারণে অ্যালার্জিক চোখ উঠা (Allergic eye irritation)
- ধারণক্ষমতা পরিবর্তন (Capacity change)
- রক্ত বা রক্তরস এলার্জি প্রতিক্রিয়া (Allergic reactions to plasma)
- ক্ষুধামন্দার রোগ (Starvation disease) ইত্যাদি।
সাধারনত উপরের উল্লিখিত সমস্যার ক্ষেত্রে আপনি একজন নিবন্ধিত চিকিৎসকের
পরামর্শ নিয়ে সিপ্রোসিন সিরাপটি সেবন করতে পারবেন। উপরের উল্লেখিত প্রতিটি
রোগের মূল কারণ হল আমাদের শরীরের কোষে তৈরি হওয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া।
সিপ্রোসিন সিরাপ মূলত এই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে দূর করতে ব্যবহার
করা।
আশা করছি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জানতে সক্ষম হয়েছেন। তবে এই সিরাপটি সেবনে
সঠিক কার্যকারিতা পেতে হলে আপনাকে সঠিক নিয়মে সেবন করতে হবে। এবার চলুন
তাহলে সিপ্রেশনের সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জেনে নেই।
সিপ্রোসিন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম
সিপ্রোসিন সিরাপ খাওয়ার বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। আপনি যদি এই সিরাপ সেবনে সঠিক
কার্যকারিতা পেতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই সঠিক অনুযায়ী সেবন করতে হবে।
আমরা এই সিরাপ সেবনের বয়স এবং রোগ অনুযায়ী এর মাত্রা বা নিয়ম উল্লেখ
করেছি। তাহলে চলুন, কথা না বাড়িয়ে সে নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক।
প্রচলিত সাধারন সেবন মাত্রা হচ্ছে রোগীর সংক্রমণের তীব্রতা, ধরন, রোগ
সৃষ্টিকারী জীবাণুর সংবেদনশীলতা এবং রোগীর বয়স ও ওজন কার্যকারিতার উপর
নির্ভর করেই মূলত সিপ্রোসিন সেবনের মাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে: এ ধরণের রোগীদের ক্ষেত্রে এই সিরাপের
খাওয়ার কমন নিয়ম হল ১০০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২ বার সেবন করতে পারবে।
উর্দ্ধ ও নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ: উর্দ্ধ ও নিম্ন
শ্বাসতন্ত্রঅর্থাৎ এ ধরনের রোগের সংক্রমনের তীব্রতা মাফিক ২৫০-৭৫০ মি.গ্রা.
দৈনিক ২ বার সেবন করতে হয়।
স্ট্রেপটোকক্কাস চিকিৎসার ক্ষেত্রে: সিপ্রোসিন সিরাপ ৭৫০ মি.গ্রা.
দৈনিক সর্বোচ্চ দুই বার খাবার খাওয়ার পরে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়ে থাকে।
গনোরিয়া রোগের ক্ষেত্রে: সিপ্রোসিন সিরাপ ২৫০ বা ৫০০ মি.গ্রা. এর ১টি
এককভাবে মাত্রা দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য সংক্রমণে ৫০০-৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক
২ বার সেবন করতে হয়।
সিসটিক ফাইব্রোসিস এর ক্ষেত্রে: নিম্ন শ্বাসনালীর সিডোমোনাস
(Pseudomonas) জনিত সংক্রমণে এর সাধারণ মাত্রা হচ্ছে ৭৫০ মি.গ্রা. দৈনিক ২
বার সেবন করতে হয়। যেহেতু সিসটিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই
সিরাপের ফার্মাকোকাইনেটিক্স সর্বদা অপরিবর্তিত থাকে তাই এর সেবন মাত্রা
নির্ধারণের পূর্বে স্বল্প দৈহিক ওজনের কথা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিত।
বৃক্কীয় কার্যকারিতার ক্ষেত্রে: তীব্র বৃক্কীয় অপ্রতুলতা ছাড়া (যখন
সেরাম ক্রিয়েটিনিন ২৬৫ এর বেশি মাইক্রোমোল অথবা ক্রিয়েটিনিন ক্লিয়ারেন্স
২০ মিলি/মিনিট এর কম) মাত্রা নতুন করে নির্ধারণের খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না।
তবে যদি মাত্রা প্রয়োজন পড়লে তাহলে আপনি দিনে যে মাত্রা নির্ধারণ করেছেন তার
অর্ধেক করার মাধ্যমেই সম্ভব হতে পারে। যদিও এই সিরাপের সেরাম পর্যবেক্ষণ
করাটা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়।
বয়ো বৃদ্ধি এর ক্ষেত্রে: যদিও এসব রোগীদের সেরাম অধিকতর পরিমাণে
উপস্থিত থাকে তাই এর মাত্রা নির্ধারণের খুব একটা প্রয়োজন হয় না।
শিশু ও কিশোর: সিপ্রোসিন সিরাপ এ ধরনের রোগীদেরকে দেয়া যেতে পারে তবে
এক্ষেত্রে রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ৭.৫-১৫ মি.গ্রা. ২টি সাধারন বিভক্ত
মাত্রায় দেয়া যেতে পারে।
চিকিৎসা মেয়াদকাল: সাধারনত চিকিৎসার স্থায়িত্বকাল বা মেয়াদকাল রোগীর
সংক্রমন জনিত আকাঙ্ক্ষা এবং ব্যাকটেরিওলজিক্যাল (Bacteriological)
পরীক্ষা-নিরীক্ষা ফলের উপর নির্ভর করে। অতিমাত্রায় সংক্রমণের ক্ষেত্রে এই
সিরাপ দ্বারা চিকিৎসার মেয়াদকাল হচ্ছে ৫ - ১০ দিন।
তবে অনেক ক্ষেত্রে কোন কোন রোগীর সংক্রমণের চিহ্ন অথবা লক্ষণ দূর হয়ে
যাওয়ার পরেও আরো ৩ দিন পর্যন্ত সিপ্রোসিন সিরাপ দ্বারা চিকিৎসা চালিয়ে
যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আশা করছি, সিপ্রোসিন সিরাপ খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানতে
পেরেছেন।
বি:দ্র: মনে রাখবেন এই সিরাপ সেবনের আগে অবশ্যই নিবন্ধিত বা অভিজ্ঞ
চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এরপর তার দেওয়া পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন
করুন।
সিপ্রোসিন সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
প্রতিটি ওষুধের যেমন উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি সামান্য পরিমাণ হলেও তার
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। তবে এ পর্যায়ে আমরা আপনাদের জানাবো সিপ্রোসিন এর
সাধারণ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। এই সিরাপের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো নিচে
উল্লেখ করা হলোঃ
- মাথা ব্যথা করা
- বমি বমি ভাব
- বমি হওয়া
- বিভ্রান্তি বোধ হওয়া
- খিঁচুনি
- তলপেটে ব্যথা করা
- হজমে সমস্যা হওয়া
- পেটে গ্যাস
- শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয়
- ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা
- মাথা ঝিমঝিম করা ইত্যাদি।
এগুলো মূলত সাধারনভাবে যেকোনো এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য হতে পারে।
তাই আমাদের সকলেরই উচিত যেকোনও ঔষধ সেবনের আগে প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ
নেয়া। আশা করছি এই সিরাপ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো জানতে পেরেছেন। এবার
চলুন, সিপ্রোসিন সিরাপ এর দাম জেনে নেই।
সিপ্রোসিন সিরাপ এর দাম কত
সিপ্রোসিন ৫০০ ওষুধটি একটি কার্যকরী স্বাস্থ্যকর ঔষধ হিসেবে পরিচিত।
এটি মূলত সিপ্রোফ্লক্সাসিন সংমিশ্রণ সমৃদ্ধির জন্য প্রযোজ্য। এবং এই ওষুধটি
মূলত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি (Square Pharmaceuticals plc.)
কোম্পানি বাজারজাত করে থাকে। সিপ্রোসিন হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ যা সাধারনত ব্যাকটেরিয়া
সংক্রমণজনিত রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে।
আমরা অনেকই এর দাম জানিনা, চলুন তাহলে সিপ্রোসিন এর বিভিন্ন মিগ্রা এর দাম
জেনে নেই। সিপ্রোসিন ৬০ মিলিগ্রাম বোতলের দাম হচ্ছে ১০০ টাকা।
আর প্রতি পিচ সিপ্রোসিন ৫০০ মিগ্রা ট্যাবলেট এর দাম হচ্ছে ১৫ টাকা।
তবে দোকান বা স্থান ভেদে এর দাম কম-বেশি হতে পারে।
সিপ্রোসিন সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতা
এই সিরাপ সেবনের কয়েকটি সতর্কতা রয়েছে যা ব্যবহারের আগে আমাদের নিরাপত্তার
জন্য জেনে নিতে হবে। আর নিরাপত্তা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অস্ত্র। ঔষধ সেবনের
আগে আপনাকে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাহলে চলুন এখন আমরা
জেনে নিবো সিপ্রোসিন সিরাপ ব্যবহারে সতর্কতাগুলো সম্পর্কে।
- আপনার যদি সিপ্রোসিন ড্রাই সাসপেনশন এর কোনো উপাদান সম্পর্কিত অ্যালার্জির প্রভাব থেকে থাকে তাহলে আপনি এই সিরাপ ব্যবহার করা ঠিক হবে না।
- আপনি যদি নিজের রোগ নিরাময়ের জন্য টিজানিডিন জাতীয় ঔষধ গ্রহন করে থাকেন, তাহলে আপনার এই সিরাপ ব্যবহার করা উচিত হবে না।
- অভিজ্ঞ ডাক্তারদের মতে মতে স্তন্যপানকারি শিশুর সম্ভাব্য ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এই সিরাপ বুকের দুধ খাওয়াকালীন ব্যবহার করা উচিত নয়।
- স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে যাদের এই সিরাপটি নেওয়া জরুরি তারা অবশ্যই বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় সিপ্রোসিন ড্রাই সাসপেনশন ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করাটা বাঞ্ছনীয়।
- এছাড়াও আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন কিংবা গর্ভাবস্থার পরিকল্পনা করছেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই এই সিরাপ গ্রহণ করতে হবে।
লেখকের শেষকথাঃ সিপ্রোসিন সিরাপ এর কাজ কি
প্রিয় পাঠক, আমরা ইতিমধ্যে এই পোষ্টে সিপ্রোসিন সিরাপ এর কাজ কি ও সিপ্রোসিন
সিরাপ এর দাম কত তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করেছি। আপনারা হয়তো এতক্ষণে
এই সিরাপ সম্পর্কে একটা পরিস্কার ধারণা পেয়ে গেছেন। আর আপনার যদি এই সিরাপ
সম্পর্কে কোন প্রশ্ন কিংবা মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
সিপ্রোসিন সিরাপ বিষয়ক পোস্টটি আপনার কেমন লাগলো? তা জানাতে ভুলবেন না
পাশাপাশি এই পোস্ট থেকে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে পোস্টটি
আপনারবন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন সিরাপ সম্পর্কিত
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পড়তে আমাদের ট্রিক্সভিউ আইটি ওয়েবসাইট নিয়মিত
ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url