এইডস কত দিন পর ধরা পরে - এইডস এর লক্ষণ ও কারণ

প্রিয় পাঠকবৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমরা আজকেও বিগত দিনগুলোর মতো একটি প্রয়োজনীয় ও জরুরি বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। সেটা হচ্ছে এইডস কত দিন পর ধরা পরে? বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ এ বিষয়ে সঠিক তথ্য জানেন না। তাই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে এই বিষয়ে একটি পরিষ্কার ধারণা জেনে নিব। আপনি যদি এইডস সম্পর্কে জেনে না থাকেন, তাহলে আজকেই এই পোষ্টটি আপনার জন্য অনেক উপকার হতে চলেছে।
এইডস কত দিন পর ধরা পরে - এইডস এর লক্ষণ ও কারণ

মূলত আমরা আপনাদের সুবিধার কথা ভেবে এইডস কত দিন পর ধরা পরে এই বিষয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি এইডস কি, এইডস কিভাবে হয়, এইডস এর লক্ষণ ও কারণ,  এইডস হলে করণীয় কি ইত্যাদি সহ আজকের এই সম্পূর্ণ পোস্ট জুড়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি এগুলো বিষয়ে জানতে চান, তাহলে আমাদের সাথে শেষ অবদি থাকতে হবে।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ

ভুমিকা - এইডস (Aids)

আমরা যারা হালকা পাতলা লেখাপড়া করেছি তারা হয়তো সকলেই এইডস (Aids) সম্পর্কে কমবেশি জানেন। কিন্তু আমাদের মাঝে এমন অনেকেই রয়েছেন যারা হয়তো জানেন না যে এইডস হচ্ছে এক ধরনের মরণব্যাধি রোগ। কিন্তু একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার মনে হয়েছে যে এই বিষয়ে জরুরি তথ্যগুলো আপনাদের জেনে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। 

এইডস কত দিন পর ধরা পরে এবং এইডস সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জেনে নেওয়া উচিত। কেননা সুস্থভাবে বেচে থাকতে হলে আমাদের এই বিষ্যে জেনে রাখাটা খুবই জরুরি। তাই অবহেলিত না হয়ে আমাদের আজকের এই সম্পূর্ণ পোষ্টটি একেবারে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

আমরা এইডস (HIV) নিয়ে এমন কিছু তথ্য প্রদান করব যার মাধ্যমে আপনি উপকৃত হতে পারবেন বলে আশাবাদী। তাইলে চলুন, আর বেশি সময়ক্ষেপন না করে মূল আলোচনায় ফেরা যাক। আমরা প্রথমে এইচআইভি বা এইডস কি? সেই সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নিব।

এইডস কি

এইডস বা এইচআইভি একটি ভয়ানক ব্যাধি। যেটাকে আমরা সকলেই ভাইরাস হিসেবে চিনি। এটি এমন একটি ভাইরাস যা মূলত আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে (immune system) একেবারে ধ্বংস করে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র হতে ১৯৮১ সালে এই রোগ সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয়।

কাপোসি-র সার্কোমা ও নিউমোসিস্টিন কারিনি নামক এই ২ টি বিরল রোগের সংক্রমণ অত্যন্ত ভয়াবহ ভাবে বেড়ে গেলে CDC সতর্ক হয়ে ওঠে। পরিশেষে ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীগন ১৯৮৪ সালে এই মহামারী রোগের ভাইরাস শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

এই ভাইরাসের পুনঃনামকরণ ১৯৮৬ সালে করা হয় সেই নাম হচ্ছে মানব প্রতিরক্ষা অভাব সৃষ্টিকারী ভাইরাস (Human immuno deficiency virus)। HIV ভাইরাস মানুষের দেহের টি-সহায়ক কোষগুলিকে (T-helper cell) আক্রমনাত্তকভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্যে খুবই প্রয়োজনীয়।

বর্তমানে এইডস বা এইচআইভি সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। ২০০৭ সালে ধারনা করা হয় যে পুরো বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৩ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ এই মরণব্যধি এইডস রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যাদের মধ্যে ৩ লক্ষ ৩০ হাজারের মতো ছিলো শিশু। আফ্রিকার সাহারা এর তিন/চতুর্থাংশেরই মৃত্যু ঘটেছে । আশা করছি এইডস বা এইচ আইভি কী তা জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, এইডস কিভাবে হয় সেই সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাক।

এইডস কিভাবে হয়

এই মরণব্যাধি রোগ হতে রেহায় পেতে হলে আমাদেরকে এইডস কিভাবে হয়? এ বিষয়ে পরিস্কারভাবে জানতে হবে এর পাশাপাশি এই মরণব্যাধি কিভাবে কোথায় থেকে এলো সেই সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে এইডস এর উৎপত্তি নিয়ে কিছুটা ধারণা নিতে হবে। HIV ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছিল ১৯২০ সালে। এদিকে বেলজিয়াম উপনিবেশিক শাসনের অধীনে ছিল কঙ্গো ১৯০৮ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত।
সেই সময় প্রতিবছর প্রায় কম করে হলেও ১০ লোক রেলে যাতায়াত করত। বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন সেখানে আসত। এর ফলে সেখানকার অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন দিনের পর দিন বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের ফলে HIV ভাইরাস অনেক ছড়িয়ে পড়ে। তবে বলা চলে এই HIV ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অনেকটা দায়ী।

কেননা আমরা জানি একই সিরিঞ্জ বার বার অনেকের শরীরে প্রবেশ করলে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। একইভাবে যুদ্ধের সময় একই সিরিঞ্জ বারবার বিভিন্ন আগত সৈনিকদের দেহে প্রবেশ করানোর ফলে এই ভাইরাস বেশি ছড়িয়ে পড়ে।

১। এইডস নানান কারণবশত হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে অসুরক্ষিত যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হওয়া। এইচআইভি ভাইরাস কারও কারও দেহে চুম্বনের দ্বারা কিংবা মিলন করার সময় বীর্য নারীদের ভেতরে প্রবেশ করানোর ফলে হয়ে থাকে।

২। মায়ের দ্বারা অনেক সময় দেখা যায় তার নিজের শিশুর দেহে এইচআইভি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। যদি কোন মা এইচআইভি (HIV) ভাইরাসে আক্রান্ত হয় এবং তার বুকের দুধ পান করে থাকে তাহলে সেই শিশুর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

৩। একই সিরিঞ্জ বা সুচ একাধিক বার ব্যবহার করার ফলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। যদি একই সিরিজ অনেকের দেহে প্রবেশ করানো হয় এবং কারও যদি এই ভাইরাস থাকে তাহলে যাদের এই ভাইরাস নেই তাদেরও এই সুচ ব্যবহারের ফলে এইচআইভি (HIV) ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে।

৪। এইডস রোগী আক্রান্ত কোনো রোগীর কাছ থেকে রক্ত নিলে। যদি কোন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর থেকে রক্ত সুস্থ কোন ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করানো হয় তাহলে তার এইডস রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

এইডস কত দিন পর ধরা পরে

আপনি হয়তো এইডস কত দিন পর ধরা পরে? এই বিষয়ে জানতে চেয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। চলুন তাহলে আপনার মনের প্রশ্নের উত্তরটা জেনে নেওয়া যাক। কারও কারও ক্ষেত্রে HIV এর সংক্রমণের ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে উপসর্গ দেখা দেয়, কিন্তু অনেকে অসুস্থ না-ও করতে পারে কিংবা অনেক দিন, মাস বা বছর পেরিয়ে গেলেও উপসর্গগুলি দেখা না-ও যেতে পারে না।

শুধুমাত্র অ্যান্টিবডি বা অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কিংবা নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার ফলে তীব্র এইচআইভি (HIV) সংক্রমণ নির্ণয় করতে পারে। নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার ফলে রক্তে প্রকৃত ভাইরাস খুঁজে বের করতে সক্ষম হয় এবং এটি এইচআইভি অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন খুঁজে বের করতে সহায়তা করে।
সংক্রমণের পরপরই খুব বেশিদিন পেরিয়ে না গেলে কোনো পরীক্ষা এইচআইভি ভাইরাস সনাক্ত করতে পারে না। নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার ফলে মূলত এই ভাইরাসের সংক্রমণের মিনিমাম ১০ থেকে ৩৩ দিন পরে আপনার শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ হয়েছে কিনা তা ধরা পড়বে আবার কখন কখনও নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষাগুলি সংক্রমণের ১৮ থেকে ৪৫ দিন পরেও জানা যেতে পারে।

তবে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে আপনার শরীরে যে এইচআইভির সংক্রমণ রয়েছে তা আসলে বুঝতে কতক্ষণ সময় লাগতে পারে? আপনার শরীরে যদি এইচআইভি ভাইরেসের লক্ষণ দেখা দেয় বা আপনি যদি মনে করেন যে এই ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন তাহলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলতে হবে।

একেবারে নিশ্চিতভাবে জানতে হলে আপনাকে পরীক্ষা করাতে হবে। নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি ২ সপ্তাহ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে অর্থাৎ ১০ থেকে ৩৩ দিনের মধ্যে এইচআইভি ভাইরাস এর সংক্রমণ ধড়া পড়তে পারে।

আর অপরদিকে আপনি যদি অ্যান্টিজেন/অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করেন তাহলে ১৮ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে এইডস ধরা পড়তে পারে। আশা করছি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পেরেছেন। এবার চলুন, এইডস এর লক্ষণ ও কারণগুলো বিস্তারিত জেনে নেই।

এইডস এর লক্ষণ ও কারণ

আমরা হয়তো অনেকেই শুনে আসছি যে এইডস হচ্ছে মূলত একটি মরণব্যাধি অসুখ। এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে এইডস এর লক্ষণ ও কারণ সম্পর্কে আমাদের সকলকেই অবশ্যই জেনে নিতে হবে। যদি কোন ব্যক্তির দেহে এই এইচআইভি ভাইরাস (HIV Virus) সংস্পর্শে আসে তাহলে বুঝতে হবে তাদের এই এইডস নামক রোগ রয়েছে।

যদিও আমাদের বাংলাদেশে এ রোগের আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম কিন্তু আস্তে আস্তে আক্রানের বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আমাদের সকলেরই উচিত এইডস এর লক্ষণ ও কারণগুলো জেনে রাখা। এইডস রোগের প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে প্রথমেই বিবেচনা করি নিরাপদ যৌন সম্পর্ক।

এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সাথে যদি কেউ অনিরাপদ সম্পর্ক করে তাহলে তার মধ্যে থাকা HIV ভাইরাস অন্য ব্যক্তির দেহে সচলভাবে প্রবেশ করবে। আর এটিই হচ্ছে এইডস রোগ হওয়ার প্রধান কারণ। তবে কারও দেহে অনিরাপদ রক্ত সঞ্চালিত হলে HIV ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।

যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির রক্ত অন্য ভালো কোন ব্যক্তির দেহে প্রবেশ করানো হয় তাহলে সেই ভালো ব্যক্তির দেহে এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তবে অতিরিক্ত মাদকদ্রব্য সেবন করার জন্যেও এটি হতে পারে।

এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত কোন মায়ের সন্তানের এইডস রোগ হতে পারে। আবার একটি সিরিঞ্জ বা সুচ যদি বারবার দেহে প্রবেশ করানো হয় তাহলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। একটি ব্লেড দিয়ে যদি একাধিক ব্যক্তির দাড়ি কামানো হয় তাহলে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

এইচআইভি সংক্রমণের পরে এর লক্ষণগুলি কতক্ষণ বা কতদিন লাগে তা প্রতিটি সংক্রমিত ব্যক্তির ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে আপনার যদি এইচআইভি ভাইরাস থেকে থাকে তাহলে তখন আপনি কেমন অনুভব করতে পারেন তার কিছু লক্ষণ নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
  • ক্লান্তি ভাব
  • মুখের ঘা
  • মাথাব্যথা করা
  • রাতে ঘাম হওয়া
  • ঘন ঘন জ্বর হওয়া
  • লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া
  • অল্পতেই বমি বমি ভাব
  • শুকনো কাশি হওয়ার মত সমস্যা
  • সব সময় অলসতা বোধ হওয়া
  • গলা অস্বাভাবিক ব্যথা করা
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া
  • খাবার গিলতে অনেক সমস্যা হওয়া
  • পেটের নানান রকম সমস্যা দেখা দেওয়া
  • দেহের বিভিন্ন স্থানে ফুসকুড়ি দেখা দেওয়া
  • সামান্য হাঁটাচলা করলেই শ্বাসকষ্ট অনুভূত হওয়া।
এইচআইভি সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণগুলি ছেলে ও এবং মেয়ে সবার মধ্যেই একই রকম হয়ে থাকে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে এইচআইভিতে আক্রমণিত হলে সামান্য কিছু অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে যেমন বেশি ঘন ঘন যোনির বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ ক্ল্যামাইডিয়া এবং হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি) সংক্রমণ পিরিয়ড মিস হওয়া এবং মাসিক চক্রের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। আশা করছি এইডস এর লক্ষণ ও কারণ জানতে পেরেছেন।

এইচআইভির লক্ষণ কি দ্রুত দেখা যায়?

এইচআইভি ভাইরাসের লক্ষণগুলো দ্রুত দেখা যায় কিনা সেটি জানতে হলে আপনাকে আগে এইডস কত দিন পর ধরা পরে সেটা জেনে নিতে হবে। তবে সাধারনত এইচআইভি ভাইরাসের লক্ষণ গুলো দ্রুত দেখা যায় না। তবে অনেকেরই প্রথম দিকে ফ্লু-এর মতো অসুখ দেখা দিতে পারে কিন্তু অনেকেই আছেন যারা উপসর্গ ছাড়াই বছরের পর বছর কাটিয়ে দিচ্ছেন। ১৩ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জীবনে অন্তত ১বার হলেও এইচআইভি ভাইরাস পরীক্ষা করা উচিত।

এইডস হলে করণীয়

এইডস হলে করণীয় কি এই বিষয়ে আমরা অনেকেই জানি না। কিন্তু এই বিষয়ে জানাটা আমাদের জন্য খুবই জরুরী। কেননা এটি যেহেতু এক ধরণের মরণব্যাধি রোগ তাই যদি কখনো আমাদের এই রোগ হয়ে যায় তাহলে প্রথম থেকেই বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। সেই বিশেষ সর্তকতাগুলো আমরা নিম্নে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি। চলুন তাহলে সময়ক্ষেপন না করে জেনে নেওয়া যাক।
  • বিবাহ বন্ধনের বাইরে কোন সম্পর্কে জড়ানো যাবে না। আপনি যদি অতীতে এ ধরনের কোন সম্পর্কে জড়িয়ে থাকেন যার ফলে এই ধরনের অসুখ হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে এটি করা যাবে না।
  • অবশ্যই শারীরিক সম্পর্কের সময় প্রটেকশন মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখবেন অন্য কোন ব্যক্তির এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
  • এইচআইভি (HIV) প্রতিরোধের প্রধাণ উপাদান হচ্ছে শিক্ষা সচেতন। অবশ্যই আমাদের এই রোগ সম্পর্কে ভালোমতো সঠিক তথ্য জানতে হবে তাহলে আমরা এই ভাইরাস থেকে মুক্তি পাবো। 
  • যারা প্রতিনিয়ত নিজের শরীরে ইনজেকশন নেন মূলত একই ইনজেকশন বারবার নেওয়ার ফলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাই অন্যের ব্যবহৃত ইনজেকশন কখনই ব্যবহার করবেন না।
  • আপনার দেহে রক্ত কিংবা অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গ্রহণের প্রয়োজন হলে অবশ্যই পরীক্ষা নিরীক্ষা করে নিয়ে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে তার এইচআইভি ভাইরাস রয়েছে কিনা।
  • এইচআইভি আক্রান্ত মায়ের চেয়ে বাচ্চার আক্রান্ত হওয়ার প্রভাব অনেক বেশি থাকে তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে মায়েদের প্রয়োজনীয় থেরাপি প্রদান করার। 
উপরের উল্লিখিত সর্তকতাগুলো সঠিকভাবে মেনে চললে আশা করছি এইডস ভাইরাস থেকে অনেকটা রেহায় মিলবে। তবে সবচেয়ে ভাল হবে এমতবস্থায় একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের সাথে সঠিক পরামর্শ করা। তাহলে অনেক কার্যকরী সমাধান পেয়ে যাবেন।

লেখকের শেষকথাঃ এইডস কত দিন পর ধরা পরে

পরিশেষে বলা যায় এইচআইভি ভাইরাসের প্রথম লক্ষণগুলো একজন ব্যক্তির ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রায় ২ থেকে ৪ সপ্তাহ পরে দেখা যায়। তবে, কখনও কখনও কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর অবদি এই রোগের লক্ষণ দেখা দিতে সময় লাগতে পারে। চিকিৎসা ব্যতীত, এই ভাইরাসের জীবনের হুমকিতে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

আধুনিক ওষুধ এই ভাইরাসে আক্রান্ত অনেক রোগীকে পুরোপুরিভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে খুবই সহায়তা করে। এখানে মূল বিষয় হচ্ছে আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব এইডস সনাক্ত করতে হবে এবং এর সঠিক চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে। তাহলে এটা আপনার জন্য খুব ভালো হবে।

এইডস কত দিন পর ধরা পরে? এই সম্পর্কিত আমাদের পোষ্টটি পড়ে উপকৃত হলে আপনার বন্ধুদের মাঝে এই পোষ্টটি শেয়ার করে দিবেন। এতে তারাও এগুলো তথ্য জেনে উপকারে আসতে পারবেন। এমন নতুনত্য স্বাস্থ্য সেবা বা রোগ নিয়ে বিভিন্ন জরুরি ও প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে আমাদের ট্রিক্সভিউ আইটি ওয়েবসাইটের সাথেই থাকার অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
4 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Blog ✅
    Blog ✅ July 27, 2024 at 5:48 PM

    দারুন লিখেছেন, ধন্যবাদ উপকৃত হলাম।

    • Tricksview IT✅
      Tricksview IT✅ July 27, 2024 at 5:50 PM

      আপনাদের উপকারের কথা ভেবেই আমাদের এতো মেহনত।

  • Blog ✅
    Blog ✅ July 27, 2024 at 5:52 PM

    আচ্ছা স্যার, আমার একটা প্রশ্ন ছিল সেটা হচ্ছে, এইডস হলে কি মানুষ মারা যায়?

    • Tricksview IT✅
      Tricksview IT✅ July 27, 2024 at 5:53 PM

      আপনার মহামূল্যবান প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। মূলত রেট্রোভাইরাসরোধী চিকিৎসা ছাড়া একজন এইডস আক্রান্ত রোগী ১ বছরের মধ্যে মারা যায়। আশা করছি আপনার প্রশ্নের উত্তরটি জানতে পেরেছেন।

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রিক্সভিউ আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url